রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় এই প্রশিক্ষণ হবে আগামী ১৯, ২০ এবং ২১ এপ্রিল। ১৯ এপ্রিল প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে মহিলাদের। বাকি দু’দিন পুরুষ প্রিসাইডিং অফিসার এবং ফার্স্ট পোলিং অফিসারদের ট্রেনিং দেওয়া হবে।
নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় প্রশিক্ষণের তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলাশাসক(জেলা পরিষদ) সৌর মণ্ডল বলেন, কমিশন থেকে এব্যাপারে নির্দেশিকা এসেছে। প্রয়োজনমতো সব প্রশিক্ষণই দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই কিছু প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ হয়েও গিয়েছে। ওসি ট্রেনিং (জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন আধিকারিক) সুদীপ্ত সাঁতরা বলেন, এবার সব বুথে ভিভিপ্যাট ব্যবহার হওয়ায় ভোটকর্মীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দরকার। সেজন্য কমিশন থেকে নির্দেশিকা এসেছে। প্রথম পোলিং অফিসার এবং প্রিসাইডিং অফিসারদের সেখানে থাকতেই হবে। তিনদিন ধরে প্রশিক্ষণ হবে বলে ঠিক হয়েছে। প্রথমে মহিলা পরে পুরুষদের প্রশিক্ষণ হবে।
প্রত্যেক নির্বাচনের আগেই ভোটকর্মীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ হয়। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, জেলায় ভোটকর্মী হিসেবে এবার চিহ্নিত করা হয়েছে প্রায় ২৬ হাজার জনকে। এর মধ্যে দরকার পড়বে ২১ হাজার কর্মী। বাকি নাম বাদ যাবে। কারা কারা ভোটের দায়িত্ব পালন করবেন, সফটওয়্যারের মাধ্যমে এখন সেই ঝাড়াই বাছাইয়ের কাজ চলছে। জেলায় এবার মহিলা পরিচালিত বুথ হওয়ার কথা রয়েছে ১৭৫টি। প্রায় হাজারজন মহিলা ভোট কর্মীকেও প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
যদিও এই প্রশিক্ষণের আগেই প্রথম ধাপের প্রশিক্ষণ হতে চলেছে আগামী ৬ এবং ৭ এপ্রিল। ভোটকর্মীদের ব্লকের হেড কোয়ার্টার অর্থাৎ বিডিও অফিসে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণ দেবেন বিধানসভা ভিত্তিক মাস্টার ট্রেনাররা। এরপরে রয়েছে আরও একটি প্রশিক্ষণ। আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা বিধানসভাটি পড়ছে। সেখানকার ভোট কর্মীদের আগামী ২৮ এপ্রিল প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এর মধ্যেই গঠন হয়ে যাবে পোলিং পার্টি। অর্থাৎ প্রিসাইডিং অফিসার সহ কোন তিনজন পোলিং অফিসার একসঙ্গে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করবেন, তা জানা যাবে। জানতে পারবেন কোন বিধানসভায় তাঁদের দায়িত্ব পড়বে, তার নামও। যার যে বিধানসভায় ভোটের দায়িত্ব পড়বে, সেই বিধানসভা যে মহকুমার অন্তর্গত, তাঁদের সেখান থেকেই প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ নিতে হবে। এই প্রশিক্ষণ অর্থাৎ তৃতীয় পর্বের প্রশিক্ষণ হবে ৪ এবং ৫মে। কিছুদিনের মধ্যেই ভোটকর্মীদের উদ্দেশে নিয়োগপত্র ছাড়া শুরু হবে।