কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
২০১৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটের সময় থেকেই নানা মন্তব্য করে বিতর্কে থেকেছেন অনুব্রত মণ্ডল। সেই সময় তিনি পুলিসকে বোমা মারার নিদান দিয়েছিলেন। ২০১৪ সালে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে গুড়-বাতাসা খাওয়ানোর পরামর্শ দেন। গত পঞ্চায়েত ভোটে চড়াম চড়াম ঢাক বাজবে বলে জানিয়েছিলেন। এবার তিনি বলেছেন, নকুল দানা খাওয়ানো হবে। তাঁর নানা মন্তব্য নিয়ে রাজ্য-রাজনীতি তোলপাড় হয়। সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেস থেকে দফায় দফায় নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়। গত বিধানসভা ভোটে তাঁকে নজরবন্দি করার নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। একজন ম্যাজিস্ট্রেট সহ কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা তাঁকে প্রতি মুহূর্তে নজর রাখেন। এবারও তাঁর মন্তব্য ঘিরে যেভাবে অভিযোগের বহর বাড়ছে তাতে বোঝা যাচ্ছে, কমিশনের কড়া নজরে রয়েছেন বিতর্কিত এই নেতা। আর তাঁকে ঘিরেই রাজ্য-রাজনীতি আবর্তিত হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এছাড়াও কেন্দ্রীয় বাহিনীর হুমকি দেওয়া প্রসঙ্গেও অভিযোগ জমা পড়েছে কমিশনে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে সেই অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা রুট মার্চ করার সময় বিভিন্ন বাড়িতে হুমকি দিচ্ছেন। তাঁরা এটা করতে পারেন কি? এই অভিযোগও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এদিন পর্যন্ত সি-ভিজিল অ্যাপের মাধ্যমে ১১৩৯টি অভিযোগ জমা পড়েছে কমিশনে। যার মধ্যে ৬৭৭টির ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অধিকাংশ অভিযোগই হল, বিভিন্ন সরকারি জায়গায় বিজ্ঞাপন রয়েছে। কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন চায়, নাগরিকদের জন্য তৈরি হওয়া সি-ভিজিল অ্যাপ সকলে ব্যবহার করুক। ভোটারদের মধ্যে জনপ্রিয় হোক সি-ভিজিল অ্যাপ। গত কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে এই অ্যাপ চালু করেছিল কমিশন। তাতে সাধারণ মানুষের খুবই সাড়া পাওয়া গিয়েছিল। তা দেখেই গোটা দেশে এই অ্যাপ চালু করল নির্বাচন কমিশন। শনিবার ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন সব জেলাশাসককে এই অ্যাপ নিয়ে ভালো করে প্রচার করার নির্দেশ দেন। সি-ভিজিল অ্যাপে ভালোই সাড়া পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত সিইও সঞ্জয় বসু।
এদিকে, অতিরিক্ত সিইও সাংবাদিকদের জানান, রাজ্যে ৫৯টি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। বাজেয়াপ্ত হয়েছে ২৩৫টি কার্তুজ। ৩৭৮২ লিটার মদ উদ্ধার হয়েছে। গাঁজা উদ্ধার হয়েছে ১৩০ কেজি। অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট উদ্ধার হয়েছে ৬৭৫০ কেজি। জিলেটিন স্টিক, পাউডার উদ্ধার হয়েছে ২৬৭৬ কেজি। আরও তল্লাশি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।