রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
বাঁকুড়া স্টেডিয়ামে আয়োজিত এদিনের কর্মিসভায় অভিষেকবাবু ছাড়াও বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের দুই তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও শ্যামল সাঁতরা, বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল সভাপতি অরূপ খাঁ, বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু, জেলা পরিষদের মেন্টর অরূপ চক্রবর্তী সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিনের কর্মিসভায় অভিষেকবাবু মূলত বিজেপিকেই নিশানা করেন। কংগ্রেস এবং সিপিএমকে তুলনায় তিনি কম আক্রমণ করেন। যুব তৃণমূল সভাপতি বলেন, গত পাঁচ বছরে বাঁকুড়ার উন্নয়নের জন্য মোদি সরকার ১০ পয়সাও খরচ করেনি। নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, তিনি নাকি রেল স্টেশনে চা বিক্রি করতেন। পাঁচ বছরে আমরা একবারও তাঁকে চা বিক্রি করতে দেখলাম না। অথচ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী গত সাত বছর ধরে আগের মতোই পায়ে হাওয়াই চটি এবং সাদা কাপড় পরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য অক্সিজেনের প্রয়োজন পড়ে। বিজেপি-র বেঁচে থাকার জন্য দাঙ্গা, ধর্ম ও নকল দেশপ্রেমের প্রয়োজন হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের কন্যাশ্রী, উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্প বিশ্বের দরবারে প্রশংসিত এবং পুরস্কৃত হচ্ছে। গত পাঁচ বছরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে দেশের প্রধানমন্ত্রী শুধু নকল করে গিয়েছেন। কন্যাশ্রীর অনুকরণে বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও প্রকল্প রূপায়ণ করেছেন। কিন্তু, কন্যাশ্রীর জন্য শুধুমাত্র এরাজ্যে যেখানে বরাদ্দ সাত হাজার কোটি টাকা। সেখানে গোটা দেশের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার নিজেদের প্রকল্পে মাত্র ১০০কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে। বিজেপি হারলেই রান্নার গ্যাস, পেট্রপণ্যের দাম কমে। আমরা যত বেশি আসনে জয়লাভ করি, কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে তত বেশি সোচ্চার হই।
অভিষেক আরও বলেন, এটা কোনও সাধারণ ভোট নয়, এটা সাম্প্রদায়িক মোদির সঙ্গে বাংলার অগ্নিকন্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াই। আগামীদিনে একযোগে লড়াই করতে হবে। জেলার নেতা জেলায়, ব্লকের নেতা ব্লকে, অঞ্চলের নেতা অঞ্চলে এবং বুথের নেতা বুথে সংগঠন করবেন। উপরের স্তরে গিয়ে নেতাগিরি করার কোনও দরকার নেই। বুথে মাটি কামড়ে পড়ে থেকে লড়াই করলেই দলের বেশি উপকার হবে। তৃণমূল মানুষকে মর্যাদা দিতে জানে। এই দলে ভালো কাজ করলে প্রাপ্য মর্যাদা পাওয়া যাবে। মাত্র ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আমরা বাঁকুড়ায় কর্মিসভার আয়োজন করি। তা সত্ত্বেও কর্মিসভায় আশাতীত ভিড় হয়েছে। রাজ্যের ৪২জন প্রার্থীর মধ্যে সুব্রতবাবু সবচেয়ে বেশি অভিজ্ঞ, দক্ষ এবং পরীক্ষিত। সুব্রতবাবু সবচেয়ে বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করবেন বলে আমার বিশ্বাস।
এদিনের কর্মিসভায় সুব্রতবাবু বলেন, অভিষেক আমার থেকে বয়সে অনেক ছোট। বাঁকুড়ায় প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে আমার কোনও পরিকল্পনা ছিল না। অভিষেকের প্রস্তাবে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে প্রার্থী করেন। প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণার আগে তৃণমূল নেত্রী আমাকে একদিন ডেকে পাঠিয়েছিলেন। তখন আমি অসুস্থ ছিলাম। নেত্রী আমাকে বাঁকুড়ায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা জানান। নেত্রীর বার্তা পাওয়ার পর আমার শরীর চাঙ্গা হয়ে যায়। ভোটে লড়াইয়ের ব্যাপারে আমি রাজি হয়ে যাই। এর আগে রাজ্যের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজের ভার তৃণমূল নেত্রী আমাকে দিয়েছেন। এবার আরও বড় দায়িত্ব তিনি আমাকে দিলেন। দলের কর্মীদের পাশে নিয়ে আমি সেই আস্থা অটুট রাখতে বদ্ধপরিকর।