বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
জেলার পুলিস সুপার শ্যাম সিং বলেন, রাস্তায় বসে পড়লে তো সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায় না। বিষয়টি পুলিস দেখছে।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ গানজেনা বিবি দাদার বাইকের পিছনে বসে ট্রেন ধরতে রাজগ্রাম স্টেশনে যাচ্ছিলেন। টোল আদায়ের অফিসের সামনে একটি লরি দাঁড়াতে গেলে বাইকটির সঙ্গে লরিটির ধাক্কা লাগে। সেই সময় গানজেনা বিবি লরির চাকার তলায় পড়ে যান। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরে পুলিস এসে লরিটিকে আটক করার পাশাপাশি মৃতদেহ তুলে নিয়ে যায়।
এদিকে, এদিন বেলা ১১টা থেকে ঘটনার প্রতিবাদে গোপালপুর মোড়ের কাছে রাস্তার উপর পাথর ফেলে অবরোধ শুরু করেন স্থানীয় গোপালপুর, আম্ভুয়া, বনরামপুর, সন্তোষপুর, শ্রীরামপুর সহ একাধিক গ্রামের মানুষ। যার জেরে রাজগ্রাম পাথর শিল্পাঞ্চল ও ঝাড়খণ্ড যাওয়ার এই রাস্তায় বহু লরি ও অন্যান্য যানবাহন দাঁড়িয়ে পড়ে। স্তব্ধ হয়ে যায় শিল্পাঞ্চল। আন্দোলনকারী হাসিবুল শেখ, নজরুল শেখ, রবিউল শেখ বলেন, রাস্তার দু’ধারে ফুটপাত দখল করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকছে লোকাল লরিগুলি। কোথাও আবার রাস্তার ধারে পাথর ও ইমারতি দ্রব্য ফেলে রাখা হচ্ছে। ফলে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। রাস্তায় হেঁটে চলা দায় হয়ে উঠেছে। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তার উপর দিয়ে চলাফেরা করতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। তাঁদের দাবি, চলতি মাসে একইভাবে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে আরও তিনজনের। তাই ফুটপাত দখলমুক্ত করতেই আমাদের এই আন্দোলন।
এবিষয়ে বীরভূম জেলা পরিষদের বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ তথা এলাকার তৃণমূল নেতা ও রাজগ্রাম পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক আসগর আলি বলেন, আন্দোলনকারীদের দাবি ন্যায্য। লোকাল গাড়িগুলি রাস্তার দু’ধারে পার্কিং করার ফলে মানুষের চলাচলের জায়গা থাকছে না। সাইকেল বা বাইক নিয়েও চলাচল করা যায় না। আমরা বহুবার বলা সত্ত্বেও শোনেনি লরির চালকরা। রাস্তার দু’ধার ফাঁকা থাকলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা কমে যাবে।