রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
কংগ্রেস জেলা সভাপতি সঞ্জয় অধিকারী বলেন, বামেরাই আগে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। আমরাও আমাদের প্রার্থী মনোনয়ন করেছি। মিল্টন রসিদের নাম ওই আসনের জন্য সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়েছে। প্রদেশের পক্ষ থেকে সেই নাম জাতীয় কংগ্রেসের পাঠানো হয়েছে।
মিল্টন রসিদ বলেন, আমি প্রার্থী হওয়ার জন্য আবেদন করিনি। ইচ্ছুকও ছিলাম না। কিন্তু, প্রদেশ নেতৃত্ব জানিয়েছে আমাকেই প্রার্থী হতে হবে। দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। আমি মানুষকে কথা দিয়েছি পাঁচ বছর কংগ্রেসে থেকে তাঁদের সেবা করব, তাই দল বদল নিয়ে এখনই কিছু ভাবছি না।
রাজ্যে জোট সমঝোতার মাঝেই আচমকা প্রার্থী ঘোষণা করে দেয় বামেরা। এনিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। বীরভূম আসনে বামফ্রন্ট প্রার্থী দিয়ে বসায় ক্ষোভে ফুঁসতে থাকে জেলা কংগ্রেসও। কার্যত তাঁরই পাল্টা হিসেবে নিজেদের মনোনীত প্রার্থীর নাম দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে পাঠাল প্রদেশ কংগ্রেস। জেলা কংগ্রেসের অন্যতম মুখ হাসনের বিধায়ক মিল্টন রসিদ তাদের পছন্দের প্রার্থী। জেলা রাজনৈতিক মহলের মতে, এই মুহূর্তে এর থেকে ভালো প্রার্থী জেলা কংগ্রেসের ছিল না। কারণ, তিনি একমাত্র সদস্য যিনি তৃণমূল প্রার্থীকে পরাজিত করে বিধায়ক হতে পেরেছেন। এমনকী সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এই আসনে তিনি প্রার্থী হলে দল ভালো ফলের আশা করছে।
তবে শুধু প্রার্থী বাছাই নয়, ঘর গোছাতেও নেমে পড়েছে জেলা কংগ্রেস। এদিন মুরারই, পাইকর ও নলহাটিতে কর্মী সম্মেলন করেছেন জেলা সভাপতি সঞ্চয় অধিকারী। সেখানে মিল্টন রসিদকেই মুখ হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে। অন্যদিকে, মাঠে নেমে পড়েছে বাম নেতৃত্বও। তারা তাদের প্রার্থী রেজাউল করিমের হয়ে দেওয়াল লিখন শুরু করেছে। পাড়ায় পাড়ায় বৈঠক করছেন নেতারা। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাম প্রার্থী হিসেবেই সোমবার পাথরচাপুড়ি থেকে প্রচার শুরু করতে চলেছেন রেজাউল করিম।