রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
জেলা নির্বাচনী আধিকারিক তথা জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বলেন, ১৯ ও ২০ মার্চ ব্যাপক প্রচার চালানো হবে জেলায়। আমরা প্রতিটি ভোটারের কাছে সচেনতনামূলক প্রচার পৌঁছে দিতে চাইছি। নানা মাধ্যমকে হাতিয়ার করা হয়েছে। আশা করছি যাঁরা এখনও এতে অংশ নেননি তাঁদের কাছেও আমাদের বার্তা যাবে।
আসন্ন সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে দেশে প্রথমবার প্রতিটি বুথে ইভিএমের পাশাপাশি ভিভি প্যাট মেশিন ব্যবহার করতে চলেছে কমিশন। শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রামের বয়স্ক, প্রৌঢ়, প্রতিবন্ধী, তরুণ-তরুণী সকলকে এতে সড়গড় করে তুলতে উদ্যোগ নিয়েছে কমিশন। তাই ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার আগেই এনিয়ে ব্যপক প্রচার চালানোর কৌশল নেয় তারা। জেলায় জেলায় সেই সংক্রান্ত নির্দেশও যায়। কিন্তু, ভোটের দিন ঘোষণার সাতদিন পরও কমিশন সব ভোটারে কাছে সচেনতনামূলক প্রচার পৌঁছে দিতে পারেনি।
কোনও ক্ষেত্রে প্রশাসনিক ঢিলেমি, কোথাও আবার প্রচার করার টিম গেলেও ভোটারদের কাছে আগাম খবর না থাকায় সেখানে ভিড় হয়নি। তাই এবার রাজ্য নির্বাচনী আধিকারিকের নির্দেশে প্রতিটি জেলায় ১৯ ও ২০ মার্চ বিশেষ প্রচার অভিযান চালানো হবে। সেখানে অনেকটা পালস পোলিও খাওয়ানোর আদলে সচেনতামূলক ক্যাম্প করার আগেই এলাকাবাসীকে জানানো হবে। যাতে তাঁরা আগাম খবর পেয়ে সেখানে হাজির হয়। জেলার পরিসংখ্যান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন এখনও পর্যন্ত প্রায় ৯ লক্ষ মানুষের কাছে ভিভিপ্যাট ও ইভিএম মেশিন দিয়ে ভোট দেওয়ার মহড়া দিয়েছে। জেলার ৩০২১টি বুথের প্রতিটিতে এবার এই শিবির করা হয়েছে। দু’দিন ফের একবার করে এই সংক্রান্ত সচেনতামূলক শিবির হবে। এছাড়াও ইভিএম ও ভিভিপ্যাট মেশিন নিয়ে ট্যাবলো ঘুরবে। তবে শুধু হাতে কলমে প্রশিক্ষণ নয়, কীভাবে ভোট দেবেন, ভোটদানের গুরুত্ব ও এব্যাপারে মানুষকে উৎসাহিত করতে পোস্টার, ফ্লেক্স ও ফেস্টুনকেও হাতিয়ার করছে কমিশন। জেলায় এখনও পর্যন্ত এনিয়ে ১০ হাজার পোস্টার, সাড়ে তিন হাজার ফ্লেক্স ছাপানো হয়েছে। এছাড়াও লোকাল কেবল চ্যানেলে প্রচার করা হচ্ছে।
তবে এবার প্রচারে অভিনবত্ব রয়েছে একটি জায়গায়। কয়েক বছর আগে মুখ্যমন্ত্রী পথযাত্রীদের ক্লান্তি দূর করতে রাস্তার মোড়ে মোড়ে বক্স বসিয়ে রবীন্দ্র সঙ্গীত শোনানোর উদ্যোগ নেন। জেলা শহরগুলিতেও ট্রাফিক পুলিসের উদ্যোগে এই পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়। সেই পরিকাঠামোকেই প্রচারের হাতিয়ার করছে কমিশন। তাঁদের দাবি, এর মাধ্যমে পথচলতি মানুষ সহজেই ভোটদানে সচেতন হবেন।