বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
গ্রামবাসীরা বলেন, এই ঘোষণা অনুসারে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই টাকা ও চাকরি যাতে পরিবারের লোকজন পায় তার ব্যবস্থা করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণা শুনে সুদীপের বাবা সন্ন্যাসী বিশ্বাস বলেন, এই ঘোষণায় আমরা খুশি। মুখ্যমন্ত্রীর উপর বিশ্বাস ছিল। অনেকে অনেক কথা বলেছে। তবে দেরিতে হলেও মুখ্যমন্ত্রী যে আমাদের কথা ভেবেছেন তার জন্য ওনাকে ধন্যবাদ জানাই। টাকা ও চাকরি যাতে তাড়াতাড়ি পাওয়া যায় সেই বিষয়টি উনি দেখবেন বলে আশা করি।
অন্যদিকে, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সুদীপের বাড়ি বানানোর ইচ্ছার কথা শুনে বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার ব্যাপারেও জানিয়েছে পশ্চিম বর্ধমানের একটি আবাসন সংস্থা। সংস্থার লোকজন সুদীপের বাড়িতে আসেন। কিভাবে সুদীপ বাড়ি করতে চেয়েছিলেন তা তাঁর বাবা সন্ন্যাসীবাবুর কাছে জানেন। সন্ন্যাসীবাবুকে শহিদ জওয়ানের ইচ্ছামতো বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার কথা জানিয়েছে ওই সংস্থা। এই বিষয়ে সন্ন্যাসীবাবুর কোনও আপত্তি না থাকার বিষয়ে লিখিত প্রতিশ্রুতিও গ্রহণ করেন। বাড়ি তৈরি করতে যা খরচ হবে তা দেওয়া হবে বলে লিখিত প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে ওই আবাসন সংস্থা। ওই সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয় সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল থেকে এই বাড়ি তৈরি করা হবে। সেইসঙ্গে বাড়ির সামনে সুদীপের একটি মূর্তিও ওই সংস্থা তৈরি করে দেবে। ওই সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এর জন্য আনুমানিক খরচ হবে ২০লক্ষ টাকা। এই বাড়ি তৈরি নিয়ে সন্ন্যাসীবাবু ও সুদীপের মা মমতা দেবী বলেন, ছেলের ইচ্ছা ছিল দোতলা পাকা বাড়ির। সেই কাজ শুরু করেছিল সুদীপ। কিন্তু এক লহমায় সব স্বপ্ন চুরমার হয়ে গেল। এখন যদি সেই বাড়ি তৈরি হয় তাহলে ছেলের ইচ্ছা পূরনের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর স্মৃতির প্রতি সম্মান জানানো হবে।