বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক অনিন্দ্যজ্যোতি পাল বলেন, ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই পার্ট-টুর ফল প্রকাশ হবে। পাশাপাশি ৫ মার্চ ইসি-র বৈঠকে পার্ট-থ্রি পরীক্ষার দিনক্ষণ চূড়ান্ত হবে।
সূত্রের খবর, ছ’মাসেও পার্ট-টুর রেজাল্ট বের করতে না পেরে চাপে রয়েছে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আর ওই পরীক্ষার ফল প্রকাশ ছাড়াই পার্ট-থ্রির পরীক্ষা নিয়ে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে অস্বস্তি বেড়েছে কর্তৃপক্ষের। ১৯ ফেব্রুয়ারি ছাত্র বিক্ষোভে বিষয়টি ভালোভাবে টের পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পদাধিকারীরা। তাই পরীক্ষা নিয়ামক বিভাগকে দ্রুত ফল প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই পার্ট-টুর পরীক্ষার ফল প্রকাশ করার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন শীর্ষ পদাধিকারীরা। এরপর ৫ মার্চ ইসি-র বৈঠক হবে।
পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম এবং হুগলির বিস্তীর্ণ এলাকার ৭০টি ডিগ্রি কলেজে কয়েক হাজার পরীক্ষার্থী পার্ট-টু পরীক্ষা দিয়েছেন। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক স্তরে সিবিসিএস (চয়েস বেসড ক্রেডিট সিস্টেম) চালু হওয়ার আগে এটাই পুরনো মাধ্যমের শেষ ব্যাচ। আগস্ট মাসে পার্ট-টুর পরীক্ষা হয়েছে। এখনও ফল প্রকাশ হয়নি। এই অবস্থায় পরীক্ষার্থীরা উদ্বিগ্ন। কারণ, অনেকেই ঠিকমতো পার্ট-থ্রির প্রস্তুতি নিতে পারেননি। ফলপ্রকাশ নিয়ে টানাপোড়েন চলায় ছাত্রছাত্রীরা সবচেয়ে বেশি সমস্যার মুখোমুখি। তাঁরা পার্ট-থ্রির পরীক্ষা পিছনোর দাবি জানিয়েছেন। এদিকে, গত বছরের পার্ট-থ্রির সময়মতো ফল প্রকাশ করতে না পারার তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে পরীক্ষা পিছনোর পক্ষপাতী নয় বিশ্ববিদ্যালয়। কারণ, গত বছর পার্ট-থ্রির রেজাল্ট অনেকটা দেরিতে প্রকাশিত হয়। সেজন্য অনেক মেধাবী পড়ুয়া অন্য রাজ্যে নামী উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পোস্ট গ্র্যাজুয়েটে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাননি। এনিয়ে ছাত্রছাত্রীদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে।
অভিযোগ, স্নাতকস্তরে সময়মতো ফল প্রকাশ করতে পারছে না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এনিয়ে ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষ এবং অধ্যাপকরাও অসন্তুষ্ট। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও নজর দেওয়া উচিত বলে অনেকে মনে করছেন। পোস্ট গ্র্যাজুয়েটে সময়মতো ফল প্রকাশ হয়। তাহলে স্নাতকস্তরে এই সমস্যার নেপথ্য কারণ চিহ্নিত করে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে অনেকে মনে করছেন। বেশকিছু অধ্যাপক সময়মতো খাতা জমা না দেওয়ায় সময়মতো রেজাল্ট প্রকাশ করা যাচ্ছে না বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক দপ্তরের দাবি। তাহলে ওইসব অধ্যাপকদের কেন সতর্ক করে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে না, তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। আগামী ৫মার্চ ইসি-র বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় হবে বলে আশঙ্কা একটি মহলের।