পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
গত ৩১ডিসেম্বর থেকে কৃষক সেতুতে এক্সপানশন জয়েন্টের কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। সেইমতো জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিলেন। কিন্তু, ১২ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা থাকায় কৃষক সেতুর সংস্কার কাজ পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হলেই কাজ শুরু হবে বলে জেলাশাসক জানিয়েছিলেন। সেইমতো শনিবার থেকে কৃষক সেতুতে কাজ শুরু হবে বলে জেলাশাসক ফের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। তারআগে বৃহস্পতিবার পুলিস অফিসারদের নিয়ে বৈঠক করে পূর্ত দপ্তর।
কৃষক সেতুতে দু’মাস ধরে একটি লেন বন্ধ করে কাজ হবে বলে জানা গিয়েছে। কৃষক সেতুর পাশাপাশি প্রায় ন’কোটি টাকা খরচে বর্ধমান-আরামবাগ রোডে পিচের কাজ হবে। প্রতিদিন কয়েক হাজার গাড়ি সদরঘাট ব্রিজের উপর দিয়ে চলাচল করে। বর্ধমান থেকে দক্ষিণ দামোদরগামী ৩০০বাস চলাচল করে। একটি লেন বন্ধ করে দেওয়ার ফলে তীব্র যানজট তৈরি হওয়ার আশঙ্কা। এনিয়ে দক্ষিণ দামোদরবাসীর তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে। এরআগেও একটি লেন বন্ধ রেখে কাজ হয়েছিল। তখন কার্যত নাভিশ্বাস অবস্থা হয়েছিল। তাছাড়া আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। দক্ষিণ দামোদরের কোনও স্কুলের সেন্টার বর্ধমান শহরে না পড়লেও রায়না-১ ও ২, খণ্ডঘোষ সহ বিস্তীর্ণ এলাকার স্কুলের অর্ধেকের বেশি শিক্ষক বর্ধমান থেকেই যাতায়াত করেন। তাঁরা বাড়তি সময় হাতে নিয়ে বাড়ি থেকে না বের হলে সময়মতো পরীক্ষা সেন্টারে পৌঁছতে পারবেন না বলে মনে করছেন অনেকে।
পূর্ত দপ্তরের বর্ধমান ডিভিশন-২ অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ৫৭লক্ষ টাকা ব্যয়ে সদরঘাট ব্রিজের ১২টি ‘এক্সপানশন জয়েন্ট’-এর মধ্যে ১১টিতে কাজ হবে। নৈহাটির একটি ঠিকাদার সংস্থা কাজের বরাত পেয়েছে। দু’মাস ধরে ওই কাজ হবে। এ ধরনের কাজের জন্য পুরো ব্রিজের উপর যান চলাচল বন্ধ রাখতে হয়। কিন্তু, টানা দু’মাস ধরে সদরঘাট ব্রিজ বন্ধ থাকলে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নেবে। তাই ব্রিজের একটি লেন বন্ধ করে কাজ হবে। সদরঘাট ব্রিজে ১১টি জয়েন্ট রয়েছে। ওইসব সংযোগকারী জায়গায় পিচ তুলে অর্ডার দিয়ে আনা বিশেষ জয়েন্ট বসানো হবে। তারপর মাইক্রো কংক্রিটের কাজ হবে।
পূর্ত দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, সদরঘাট ব্রিজের উপর প্রচণ্ড চাপ থাকে। এ ধরনের ব্রিজে ‘এক্সপানশন জয়েন্ট’-এর কাজ যেভাবে হওয়া দরকার, কৃষক সেতুতে তেমনটা নেই। পিচ তুলে নিলে ব্রিজের নীচ থেকে জয়েন্টের ফাঁক দিয়ে আকাশ দেখা যায়। এটা ব্রিজের স্বাস্থ্যের পক্ষে বিপজ্জনক। এখনই ভেঙে পড়ার আশঙ্কা না থাকলেও ভবিষ্যতে বিপদের আশঙ্কা থেকে যায়। তাই এক্সপানশন জয়েন্টের কাজ এরআগে শুরু হয়েছিল। কিন্তু, মাত্র কয়েকদিন ব্রিজের একটি লেন বন্ধ হওয়ার জেরে সবকিছু লণ্ডভণ্ড হয়ে যাওয়ায় তড়িঘড়ি তখন কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ওই সময়কালের মধ্যে মাত্র একটি জয়েন্টের কাজ হয়েছে। এখন অবশিষ্ট ১১টি জয়েন্টের কাজ করা হবে। একটানা ৯০দিন কৃষক সেতুর একটি লেন বন্ধ রেখে যান চলাচল করতে দুর্ভোগ কোন দিকে গড়াবে, তা ভেবে উদ্বিগ্ন পুলিস এবং প্রশাসন।
পূর্ত দপ্তরের বর্ধমান পূর্ব সাব ডিভিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সুদীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, শনিবার থেকেই দামোদরের উপর সেতুর এক্সপানশন জয়েন্টের কাজ শুরু হবে। জেলাশাসক এনিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। বৃহস্পতিবার পুলিসের সঙ্গে এনিয়ে বৈঠকও হয়েছে। এক্ষেত্রে পুলিসের সাহায্য ছাড়া কোনওভাবে এই কাজ করা সম্ভব নয়। তাই আমরা পুলিসের সঙ্গে আলোচনা সেরে নিয়েছি।