পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পরীক্ষা নিয়ামক অনিন্দ্যজ্যোতি পাল বলেন, পার্ট-টুর রেজাল্ট তৈরির কাজ চলছে। যত দ্রুত সম্ভব আমরা রেজাল্ট বের করে দেব। পাশাপাশি পার্ট-থ্রির পরীক্ষার দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। সামনে ইসি-র(এগজিকিউটিভ কাউন্সিল) বৈঠক আছে। সেখানেই পরীক্ষার তারিখ চূড়ান্ত হবে।
এদিন বিক্ষোভরত পড়ুয়ারা উপাচার্য নিমাইচন্দ্র সাহার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। উপাচার্যের অফিস থেকে একটি প্রতিনিধি দলকে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এনিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বাদানুবাদ লাগে। শেষমেশ উপাচার্যের সঙ্গে দেখা না করে ছাত্রছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল গেট আটকে অবস্থান আন্দোলনে বসেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজবাটি ক্যাম্পাসের অধ্যাপক, অফিসার এবং অশিক্ষক কর্মীরা আটকে পড়েন। বেশকিছুক্ষণ ধরে গেট বন্ধ থাকার পর বিক্ষোভরত পড়ুয়ারা রাজবাটি ক্যাম্পাস ছাড়েন।
গত বছর আগস্ট মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্ট-টু পরীক্ষা হয়েছে। তিন জেলায় ৭০টি ডিগ্রি কলেজে কয়েক হাজার পরীক্ষার্থী আছেন। এখনও পর্যন্ত ফল ঘোষণা করতে পারেনি পরীক্ষা নিয়ামক দপ্তর। অথচ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পার্ট-থ্রির পরীক্ষা আগামী মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু হবে বলে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গোটা ঘটনায় আতান্তরে পড়ে গিয়েছেন হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী। পার্ট-টুর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারলে তবেই পার্ট-থ্রির পরীক্ষায় বসা যাবে। যেসকল ছাত্রছাত্রী উত্তীর্ণ হতে পারবেন না তাঁদের ফের পার্ট-টু পরীক্ষায় বসতে হবে। এই অবস্থায় মাঝারি মেধার পড়ুয়ারা পার্ট-টু নাকি পার্ট-থ্রি কোন কোর্সের পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেবেন তানিয়ে সমস্যায় পড়ে গিয়েছেন। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক স্তরে সিবিসিএস(চয়েস বেসড ক্রেডিট সিস্টেম) চালু হওয়ার আগে এটাই পুরনো মাধ্যমের শেষ ব্যাচ। তাঁদের নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা চলছে বলে এদিন ক্ষোভ উগড়ে দেন বিশ্বজিৎ রায় নামে এক পড়ুয়া। গত বছর পার্ট-থ্রির রেজাল্ট সময়মতো প্রকাশ করতে পারেনি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়। যারফলে দেশের অনেক নামী বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্ট গ্র্যাজুয়েটে ভর্তির সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে ইচ্ছুক পড়ুয়াদের। এবারও সময়মতো পার্ট-টুর পরীক্ষার ফল ঘোষণা করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয়। এই অবস্থায় পার্ট-থ্রির পরীক্ষা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। সকলের একটাই প্রশ্ন, পার্ট-থ্রির রেজাল্ট সময়মতো না বের হলে গত বছরের মতো ফের পোস্ট গ্র্যাজুয়েটে ভর্তি নিয়ে নতুন সমস্যা তৈরি হবে। হাজার হাজার ছেলেমেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে এই ছিনিমিনি খেলা কবে বন্ধ হবে?