কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পুলিস সূত্রের খবর, ওইদিন মাঝরাতে রানাঘাট থানায় এনে রাখা হয় অভিজিৎকে। এরপর মঙ্গলবার সকাল ৭টা নাগাদ রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পর, সকাল ৯টা নাগাদ তাকে নিয়ে যাওয়া হয় রানাঘাট আদালতের কোর্ট লক আপে। রাতে রানাঘাট থানায় আসার পর রুটি, তরকারি খায় অভিজিৎ। মঙ্গলবার সকালের দিকে চা-বিস্কুট খেতে দেওয়া হয় তাকে। তা খাবার পর স্বাভাবিকভাবেই অভিজিৎ পুলিসের সঙ্গে আসে হাসপাতালে। সেখান থেকে যায় রানাঘাট কোর্টে।
এদিকে উত্তেজনা এড়াতে এদিন আদালতের বাইরে পুলিসের পক্ষ থেকে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। এদিন সবরকম বিশৃঙ্খল পরিবেশ এড়াতেই পুলিস সকাল-সকাল অভিজিৎকে নিয়ে হাজির হয় কোর্টে। শ্যাম বর্ণের স্বল্প উচ্চতা সম্পন্ন অভিজিৎ গায়ে ফুল সোয়েটার, পায়ে কালো চটি, মুখ কাপড়ে ঢাকা অবস্থায় পুলিসের হাত ধরে হেঁটে প্রবেশ করে আদালতে। এরপর আদালতের বারান্দা দিয়ে ঢুকে ডান দিকে লকআপের দ্বিতীয় ঘরে রাখা হয় তাকে। সেই ঘরে একাই ছিল অভিজিৎ। সারাদিনে বেশ কয়েকবার রানাঘাটের এসডিপিও ও সিআইডি আধিকারিকরা জেরা করেন অভিজিৎকে। পুলিস সূত্রের খবর, এদিন দুপুরে অভিজিৎকে তিনটি আটার রুটি ও মুরগির মাংস খেতে দেওয়া হলে তা খেয়ে নেয় সে।
এরপর দুপুর আড়াইটে নাগাদ আদালতের দ্বিতীয় তলে বিচারকের এজলাসে তোলা হয় অভিজিৎকে। এসিজেএম তার ১৪ দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেন। এরপরই কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে শক্ত দুই হাতে কাঠগড়ার কাঠ চেপে ধরে বিচারকের উদ্দেশে অভিজিৎ বলে, ম্যাডাম আমাকে পার্টিগতভাবে ফাঁসানো হয়েছে। তবে, এদিন কোনও রাজনৈতিক দলের কথা উল্লেখ করেনি সে।
পুলিসের দাবি, পুলিসের কাছে অপরাধ স্বীকার করেছে অভিজিৎ। বেলা সাড়ে ৩টের পর সিআইডির তিন সদস্যের দল তাকে নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেয়। মঙ্গলবার থেকে বিধায়ক খুনের মামলার তদন্তভার গেল সিআইডির হাতে।
রানাঘাট আদালতের অতিরিক্ত সরকারি আইনজীবী সুমিত মণ্ডল বলেন, পুলিসের পক্ষ থেকে ধৃতকে ১৪ দিনের পুলিস হেফাজতের আবেদন করা হলে, আদালত তা মঞ্জুর করেছে। ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২, ১২০( বি), ৩৪ ও ২৫/২৭ অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের হয়েছে।
অন্যদিকে আজ, বুধবার বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের শ্রাদ্ধশান্তির কাজ হবে তাঁর ফুলবাড়ির বাড়িতে। মঙ্গলবার রাতে বিধায়কের মেজ ভাই সুজিত বিশ্বাস বলেন, আমি অভিযুক্ত অভিজিৎ সহ সকল অপরাধীর ফাঁসি চাই। একই দাবি তুলেছেন নদীয়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সন্তোষকুমার গুহ।
বিধায়ক খুনের ঘটনার পর থেকেই বাড়িছাড়া হয়ে রয়েছে অভিযুক্ত অভিজিতের পরিবার। অভিজিতের জ্যাঠা রঞ্জিতবাবু বলেন, আমি সংবাদ মাধ্যমে খবর জানতে পারি যে অভিজিৎকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। আমিও ওর শাস্তি চাই।