পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
অধ্যক্ষা মানবী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অধ্যাপক ও অধ্যাপিকাদের দ্বন্দ্বের জেরে কলেজে অচলাবস্থা চলছে। এর আগেও অধ্যাপক-অধ্যাপিকারা রাস্তায় নেমেছেন অধ্যক্ষার বিরুদ্ধে। একাধিকবার আন্দোলন করেছেন। গত শুক্রবার থেকে কলেজের ২২জন অধ্যাপক ও অধ্যাপিকা কর্মবিরতিতে নেমেছেন। কর্মবিরতি মঙ্গলবারও হয়েছে।
এদিন কর্মবিরতি চলাকালীন কলেজে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটল। কলেজে আসা কিছু ছাত্রীর সঙ্গে অধ্যাপক ও অধ্যাপিকারা কথা বলছিলেন। সেই সময় কলেজের এক অস্থায়ী কর্মী মোবাইলে ছবি তুলতে আসে। এতে আপত্তি জানান ছাত্রীরা এবং মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়। ছাত্রীরা পরে হাজির হন জেলাশাসকের দপ্তরে। সেখানে তাঁরা কলেজের অচলাবস্থা কাটানোর দরবার করেন। ছাত্রীরা বলেন, কলেজের অধ্যক্ষা ও অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের দ্বন্দ্বে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। আমরা প্রতিদিন কলেজে আসছি। আবার প্রতিদিনই ফিরে যেতে হচ্ছে। কোনও ক্লাস হচ্ছে না। ক্লাস না হলে সিলেবাস শেষ হবে না। আমাদের পড়াশোনায় ক্ষতি হচ্ছে। এর আগেও একাধিকবার আন্দোলন হয়েছে। প্রায়শই অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের আন্দোলন হচ্ছে। সমস্যার স্থায়ী সমাধান হচ্ছে না। এদিন আমরা আন্দোলনরত অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের সঙ্গে কথা বলছিলাম। সেই সময় অধ্যক্ষার হয়ে এক কর্মী ছবি তুলতে এসেছিলেন। তাতে আমরা আপত্তি তুলি। জেলাশাসকের দপ্তরেও আমরা জানিয়ে এসেছি, দ্রুত কলেজের সমস্যা সমাধান করা হোক। কলেজে ক্লাস শুরু হোক।
আন্দোলনকারীদের পক্ষে অধ্যাপক সুদর্শন বর্ধন বলেন, এক অস্থায়ী কর্মী অধ্যক্ষার হয়ে ছবি তুলছিলেন। তাতে আপত্তি জানায় ছাত্রীরা। ওরা মোবাইল কেড়ে নেয়। পরে অবশ্য মোবাইল ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অধ্যক্ষার অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। এদিনও কলেজের অধ্যক্ষা মানবী বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া মেলেনি।