কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
দুর্গাপুরে সিআরপিএফের ডিআইজি বিনয় কুমার সিং বলেন, ও যে ব্যাটেলিয়ানের কথা বলছে সেটি এখন ভোপালে রয়েছে। সিআরপিএফের এক আধিকারিক বলেন, এই পরিস্থিতিতে এভাবে ছুটি পাওয়া যায় না। পরিবারে বড়সড় দুর্ঘটনা হলে তবেই ছুটি মঞ্জুর হয়।
ওই প্রতারকের স্ত্রী আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এদিন সেকারণে হাসপাতালে এসে নিজেকে সেনা জওয়ান পরিচয় দিয়ে বাড়তি সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করে। অত্যন্ত নিখুঁতভাবে বিস্ফোরণের বর্ণনা দেওয়ায় কেউ তাকে দেখে সন্দেহও করেনি। এমনকী সবার সামনে সে বিভিন্ন ধরণের অত্যাধুনিক অস্ত্রের নামও বলতে থাকে। তাতে সবার মনে বিশ্বাস আরও দৃঢ় হয়। সে বলে, বিস্ফোরণে সহকর্মীদের মৃতদেহ ছিন্নভিন্ন হতে দেখেও কর্তব্যে অবিচল ছিলাম। যাতে সাধারণ লোকজনদের জঙ্গিরা কোনও ক্ষতি না করতে পারে তারজন্য মুহূর্তে ঘোর কাটিয়ে একে-৪৭ হাতে সহকর্মীদের সঙ্গে এলাকা ঘিরে ফেলেছিলাম। চোখের জল মুছতে মুছতেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বন্ধুদের মৃতদেহ নিজের হাতে তুলেছিলাম। কনভয়ের তিন নম্বর গাড়িতে ওরা বিস্ফোরণ ঘটায়। আমি পাঁচ নম্বর গাড়িতে ছিলাম। জম্মু থেকে শ্রীনগরে হেড কোয়ার্টারে আমাদের কনভয় যাচ্ছিল। হঠাৎ করেই বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনতে পাই। চোখের সামনে সহকর্মীদের মৃতদেহ ছিন্নভিন্ন হতে দেখি। কয়েক মিনিটের জন্য হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু তারপরেই গাড়ি থেকে নেমে পজিশন নিই। সেসময় রাস্তা দিয়ে অনেক সাধারণ নাগরিকদের গাড়ি যাচ্ছিল। তাদের যাতে কোনও ক্ষতি না হয় সেকারণে আমরা এলাকা কভার করতে থাকি। সাধারণ মানুষকে বাঁচানো আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল। ওরা ভেবেছিল আমাদের মনোবল ভেঙে দেবে। কিন্তু তা হবে না। পাল্টা জবাব যতক্ষণ না দিতে পারব তখন রাতে ঠিক মত ঘুমোতে পারব না। তার এই বক্তব্য শুনে হাততালির ঝড় ওঠে হাসপাতাল চত্বরে। সে আরও বলে, স্ত্রীর অসুস্থতার খবর শুনে স্যাররা আমাকে ছুটি দিয়ে দিয়েছে। ১৫দিনের ছুটির পর আবার কাশ্মীরে ফিরে যাব।
এই কথা শুনে হাসপাতাল চত্বরেই তার নামে জয়ধ্বনি উঠতে থাকে। অনেকেই তাকে হোটেলে ডেকে নিয়ে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করায়। কিন্তু সন্ধ্যা হতেই তার মুখোশ খুলে যাওয়ায় তার প্রতি সহানুভূতি ক্ষোভে পরিণত হয়। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে সে হঠাৎই হাসপাতাল থেকে উধাও হয়ে যায়। বেশ কিছুক্ষণ পর লুকিয়ে হাসপাতালে ঢুকতেই তাকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায়। আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিস তাকে থানায় নিয়ে যায়। পুলিস জানিয়েছে, তার কথায় বিস্তর অসঙ্গতি রয়েছে। ও আর কোথাও এভাবে প্রতরণা করেছে কিনা তা দেখা হচ্ছে।