বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
কাটোয়া-১ ব্লকের গিধগ্রাম পঞ্চায়েতের কৈথন গ্রামের নীলেরপাড় এলাকায় শাহবাজের বাড়ি। তার বাবা জাহির আলি মণ্ডল ভারতীয় সেনার সুবেদার পদে শিলিগুড়িতে কর্মরত। জাহির সাহেব বলেন, ২০১৪ সালে শাহবাজকে মেমারির এক আবাসিক মিশনে ভর্তি করেছিলাম। মাধ্যমিকে আমার ছেলে প্রতিটি বিষয়ে ৭৪ শতাংশ নম্বর পেয়ে পাশ করেছে। মিশনে মোবাইল ব্যবহারের অনুমতি নেই বলে, আমি ছেলেকে মোবাইল কিনে দিইনি। তাই আমার অবাক লাগছে শাহবাজ প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে কীভাবে জড়িয়ে পড়তে পারে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পড়াশোনায় ভালো ছাত্র হিসেবে পরিচিত শাহবাজকে উচ্চশিক্ষার জন্য মেমারিতে ওই আবাসিক মিশনে ভর্তি করিয়েছিলেন জাহির সাহেব। সেখানে গিয়েই মাধ্যমিক পরীক্ষায় হোয়াটসঅ্যাপে প্রশ্নফাঁস কাণ্ডের সঙ্গে শাহাবাজ জড়িয়ে পড়ে বলে জানা গিয়েছে। সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রশ্নফাঁস চক্রের যে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ রয়েছে, তাতে শাহবাজও রয়েছে। তাই তাকে মেমারি থেকে আটক করা হয়েছে। কৈথন গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, শাহবাজদের বাড়ি তালাবন্ধ। বাড়ির সামনে ছিলেন শাহবাজের মামা শেখ জালাল আহমেদ। তিনি বলেন, গ্রামে পড়াশোনার অসুবিধার জন্যই অনেক টাকা খরচ করে শাহবাজকে মিশনে পাঠানো হয়েছিল। ওই মিশনে আবাসিক ছাত্রদের মোবাইল ব্যবহার করতে দেয় না বলেও শুনেছি। সেখানে শাহবাজ কীভাবে জড়িয়ে পড়ল ভাবতে পারছি না।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শান্ত স্বভাবের শাহবাজ পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলায় সমান পারদর্শী। কিন্তু সে এভাবে সিআইডির হাতে ধরা পড়বে, তা ভাবতে অবাক লাগছে।