বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার দাঁড়কার আবাডাঙায় প্রথমার মোবাইল শেষবার টাওয়ার লোকেশনে ছিল। ওই ঘটনায় পুলিস কুকুর এদিন ময়ূরেশ্বর থানার উলকুণ্ডা গ্রামে যায়। সেখানে একটি ক্লাব ঘর ও স্থানীয় নেতার বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছয়। যদিও পুলিস এবিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ।
পুলিস সুপার শ্যাম সিং বলেন, আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি। এদিনও পুলিস কুকুর নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়েছে। পার্শ্ববর্তী জেলার সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে। মেয়েটির সন্ধান দিতে পারলে পুরস্কৃত করার কথাও জানানো হয়েছে বিজ্ঞাপনে।
প্রথমার বাবা সুপ্রভাত বটব্যাল প্রথমে নকশাল, তারপর সিপিএম পরে বিধায়ক মণিরুল ইসলামের হাত ধরে কিছুদিন তৃণমূল দল করেন। বর্তমানে তিনি বিজেপি নেতা। রাজনীতিতে বহুঘাটের জল খাওয়া এই নেতাকে নিয়ে লাভপুরজুড়ে নানা বিতর্কিত চর্চা রয়েছে। কিন্তু, তাঁর মেয়ে প্রথমা সম্পূর্ণ ভিন্ন চরিত্রের বলে দাবি এলাকাবাসীর। শান্ত স্বভাবের শিক্ষিতা মেয়েটি তাই গ্রামে সকলের প্রিয়। এমএ, বিএড পাশ করে স্থানীয় যাদবলাল উচ্চ বিদ্যালয় ও লাঘোষা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোকেশনাল শিক্ষিকা হিসেবে এলাকায় তাঁর যথেষ্ট সুনাম আছে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে মা, কাকা, কাকিমার কাছ থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা তাই স্বাভাবিকভাবেই মেনে নেয়নি লাভপুরবাসী। সেই রাতেই বহু মহিলা ছুটে গিয়েছিলেন থানায়। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় মহিলারা রাজ্য সড়কে মিছিল করেন প্রথমাকে ফেরানোর দাবিতে। সুপ্রভাতবাবুর বাড়ির পরিচারিকা শিমুলি বাউরি আক্ষেপ করে বলেন, এমন মেয়ে হয় না। আমি অনেকদিন ওকে দেখছি, খুবই শান্ত প্রকৃতির। একই কথা প্রতিবেশী বেবি সর্দারের। তিনি বলেন, এর প্রতিবাদ না করলেই নয়। আমার বাড়িতেও তো মেয়ে আছে। আর ওই মেয়েটি খুবই ভালো।
শনিবার নিয়ে তিনদিন কোনও ব্যানার ছাড়া অরাজনৈতিকভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে লাভপুর। সিউড়ি কাটোয়া রাস্তার উপর বিভিন্ন জায়গায় টায়ার জ্বালিয়ে চলে বিক্ষোভ। যান চলাচল সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত। এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে কীর্ণহার ও নানুরেও।