গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এদিন মুরারই-১ ব্লকের বুথ কর্মী সম্মেলনে ন’টি অঞ্চল নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন। মঞ্চে এক এক করে অঞ্চল সভাপতিদের ডেকে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের নিরিখে কোথায় এগিয়ে আর কোথায় পিছিয়ে রয়েছেন তা তুলে ধরেন অনুব্রতবাবু। পিছিয়ে থাকার কারণও তিনি অঞ্চল সভাপতি ও প্রধানদের কাছ জানতে চান। রাজগ্রাম, মহুরাপুর, পলশা, চাতরা ও মুরারই অঞ্চলের একাধিক বুথে বিধানসভায় হেরেছে দল। লোকসভা ভোটে সেই সব বুথে লিড দিতে হবে বলেও তিনি নির্দেশ দেন। চাতরা অঞ্চলের ২১ টি বুথের মধ্যে ছটি বুথে পরাজিত হয়েছে শাসকদল। অঞ্চল সভাপতি রাজেন ভকতকে মঞ্চে ডেকে তিনি বলেন, ভোট চুরি করতে পারবেন? অঞ্চল সভাপতি বলেন, হ্যাঁ পারব। অনুব্রতবাবু বলেন, আমি চুরি মানে মন চুরি করার কথা বলছি। মানুষের মন জয় করে ভোট নিতে হবে। রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, দু’দিন আগে সিউড়িতে কর্মিসভায় এমনই এক অঞ্চল সভাপতিকে মঞ্চে ডেকে ভোট চুরি করার কথা বলে সমালোচিত হন অনুব্রতবাবু। এদিন ‘মন চুরির’ কথা বলে সেই সমালোচনায় জল ঢেলে দিলেন তিনি।
অঞ্চল ভিত্তিক পর্যালোচনার পর কর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মৎসমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা বলেন, দিল্লির বুকে বাংলা থেকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ এসেছে। আপনারা পরিশ্রম করুন। মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে উন্নয়নমূলক কাজের প্রচার চালান। মানুষকে বোঝান। এই সুযোগ হাতছাড়া করবেন না। বিরোধীদের জমানত জব্দ করে দিন। এরপরই বক্তব্য রাখতে উঠে অনুব্রতবাবু বলেন, বুথের কর্মীরা পরিশ্রম করে এমপি, এমএলএ থেকে গ্রামের মেম্বার তৈরি করেন। তাই বুথ সভাপতিদের কেউ অসম্মান করবেন না। যদি কোনও মেম্বার অসম্মান করেন, তাহলে তাঁর মেম্বার থাকার দরকার নেই। আমরা নতুন মেম্বার জিতিয়ে আনব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘরে ঘরে উন্নয়ন পৌঁছে দিয়েছেন। সেটা আপনারা প্রচার করুন। মোদির কথা কোনও জায়গায় বলবেন না। ও মিথ্যাবাদী।
কাশ্মীরে জঙ্গি হানা নিয়েও তিনি নরেন্দ্র মোদিকে তীব্র আক্রমণ করেন। ইন্দিরা গান্ধী ও জওহরলাল নেহরুর মতো পাকিস্তানকে পাল্টা দেওয়ার কোনও ক্ষমতা নেই মোদির। তিনি কেবল মানুষকে ঠকিয়ে চলেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষকে ঠকান না। মানুষের পাশে থেকে কাজ করেন। আর তুমি (মোদি) নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবাংলার মানুষের উন্নয়ন নিয়ে ব্যস্ত। অনুব্রতবাবু আরও বলেন, পাঁচ হাজার টাকাটা কোনও বড় কথা নয়। তবুও কৃষক ভাতা চালু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট এরাজ্যে ক্ষমতায় ছিল। তাঁরা তো কেউ কৃষকদের কথা ভাবেনি। একমাত্র মমতাই সব শ্রেণীর মানুষের কথা চিন্তা করেন। এরপরই তিনি হাতজোড় করে অনুরোধ জানান, অন্য কোথাও ভোট নয়। ভারতবর্ষকে পাল্টাতে হবে। তার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এরাজ্য থেকে ৪২টি আসন দরকার। এদিনের কর্মিসভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী, সহ সভাপতি অভিজিৎ সিংহ, মুরারইয়ের অবজারভার ত্রিদিব ভট্টাচার্য, বিধায়ক আব্দুর রহমান, ব্লক সভাপতি বিনয় ঘোষ প্রমুখ।