বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
গত ৩ ফেব্রুয়ারি কাঞ্চন উত্সবে ডিউটি করার জন্য দেওয়ানদিঘি থানার বড় কাশিয়াড়ার বাড়ি থেকে বের হন রবীন্দ্রনাথ। পরদিন সকালে বর্ধমান শহরের লাকুর্ডি এলাকায় বাঁকা নদীর ব্রিজের নীচ থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃতের মাথায় ভারী জিনিস দিয়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল। তাঁর বাইক ও মোবাইলটি পাওয়া যায়নি। খুনের অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর পুলিস তদন্তে নামে। নিহতের ফোন কলের সূত্র ধরে পুলিস প্রথমে রাজুকে পাকড়াও করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস জানতে পারে, জমিজমা সংক্রান্ত পারিবারিক বিবাদের জেরে রবীন্দ্রনাথকে খুনের পরিকল্পনা নিয়েছিল তাঁর কাকা বিপ্লব। ঘটনার দিন রবীন্দ্রনাথকে ফোন করে লাকুর্ডির কালিন্দীপাড়ায় ডেকে আনে রাজু। সেখানে হাজির হয় পেশায় সাটারিং মিস্ত্রি মানবেন্দ্র। তিনজনে কথা বলার সময় আচমকা রবীন্দ্রনাথের মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে রাজু। তাতে তিনি পড়ে গিয়ে সংজ্ঞা হারান। এরপর শ্বাসরোধ করে তাঁকে মেরে ফেলা হয়। মৃতদেহটি বাঁকার ব্রিজের নীচে ফেলে রেখে যায় রাজু ও মানবেন্দ্র। খুনের পর তারা বিপ্লবের কাছে তিন লক্ষ টাকা দাবি করে। ভয় পেয়ে গিয়ে সেই টাকা দিয়ে দেয় বিপ্লব। তার ব্যাংক ও পোস্ট অফিসের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলা হয়। যদিও রাজু ও মানবেন্দ্র পুলিসকে জানিয়েছে, খুনের জন্য তারা দেড় লক্ষ টাকা পেয়েছে। বিপ্লবের ব্যাংক ও পোস্ট অফিসের অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করছে পুলিস। খুনে ওড়গ্রামের এক যুবকের ভূমিকা খতিয়ে দেখছে পুলিস। সিভিক ভলান্টিয়ার হওয়ার সুবাদে রবীন্দ্রনাথ জমিজমার বিবাদে প্রভাব খাটাচ্ছিলেন বলে অভিযুক্ত কাকার দাবি। পুলিসের ভ্যানে ওঠার সময় ধৃত জানায়, ভাইপো নিজের প্রভাবকে কাজে লাগাচ্ছিল। তাই তাঁকে শিক্ষা দিতে মেরে হাত-পা ভাঙার কথা বলেছিলাম। খুনের কোনও পরিকল্পনা ছিলনা।