সংবাদদাতা, পূর্বস্থলী: মন্তেশ্বর কিষাণ মান্ডিতে সেন্ট্রালাইজড প্রোকিওরমেন্ট সেন্টার (সিপিসি) থেকে ফড়ে সন্দেহে ছ’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। ধৃতদের মধ্যে মন্তেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য ও সরবরাহ স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ শিশির ঘোষের ভাইপো পলাশ ঘোষ এবং স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক নেতা আছেন। শুক্রবার ধৃতদের কালনা এসিজেএম আদালতে তোলা হয়। বিচারক প্রত্যেকের জামিন মঞ্জুর করেন। পুলিস সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, মন্তেশ্বর কিষাণ মান্ডিতে প্রান্তিক চাষিদের ধান কেনা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ ছিল। কিছু মধ্যস্থতাকারীর দাপটে প্রান্তিক চাষিদের হয়রানি বাড়ছিল। তাদের সুপারিশ ছাড়া ধান বিক্রি করা যাচ্ছিল না। এরকম পরিস্থিতিতে পুলিস অভিযান চালিয়ে ছ’জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি আহমেদ শেখ বলেন, খাদ্য ও সরবরাহ স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ শিশিরবাবু অসুস্থ। এই অবস্থায় চাষিদের স্লিপ দেওয়ার জন্য কয়েকজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তাঁরা সিপিসিতে স্লিপ বিলি করছিলেন। সেই সময় পুলিস তাঁদের ধরেছে। জেলা প্রশাসন ও খাদ্য দপ্তরের জেলার অফিসাররা এখানে এসে সিপিসি ঘুরে গিয়েছেন। এখানে স্বচ্ছভাবে ধান কেনা হচ্ছে বলে তাঁরা দাবি করেছেন। শিশিরবাবু বলেন, আমার বুকে পেসমেকার বসানো হয়েছে। আমি ভাইপোকে দায়িত্ব দিয়ে সিপিসিতে পাঠিয়েছিলাম। তখন পুলিস তাঁকে এবং আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রির কাজে দলের একটা অংশ মাতব্বরির করছে বলে মন্তেশ্বরের তৃণমূল কংগ্রেসের একটা অংশের অভিযোগ। এরই প্রতিবাদে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কাছে নালিশ জানানো হয়েছিল। তাঁরই নির্দেশে পুলিস অভিযান চালায়। বৃহস্পতিবার বিকেলে কালনার এসডিপিও শান্তনু চৌধুরীর নেতৃত্বে বিশাল বাহিনী মন্তেশ্বর সিপিসি কেন্দ্রে অভিযান চলায়। স্থানীয় বিধায়ক সৈকত পাঁজা বলেন, পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। আশাকরি, তাতে সবটাই বেরিয়ে আসবে।