কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
প্রসঙ্গত, গত শনিবার হাঁসখালির ফুলবাড়ি গ্রামে বাড়ির কাছে সরস্বতী পুজোর অনুষ্ঠান চলাকালীন খুন হন কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক তথা তৃণমূলের জেলা যুব সভাপতি সত্যজিৎ বিশ্বাস। খুনের ঘটনার দিনেই গ্রেপ্তার করা হয় ফুলবাড়ির মজিদপুর পাড়ার বাসিন্দা সুজিত মণ্ডল ও কার্তিক মণ্ডলকে। সুজিত বিজেপি কর্মী বলে পরিচিত। ওই খুনের ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে নির্মল ঘোষ ও কালীপদ মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। তাদের বাড়ি যথাক্রমে হাঁসখালি থানার মদনা গ্রামে ও ফুলবাড়িতে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযোগপত্রে নাম রয়েছে কালীপদর। পুলিস হেফাজতে থাকা সুজিত ও কার্তিককে জেরা করে নির্মলের নাম পাওয়া যায়। বৃহস্পতিবার নির্মলকে চাকদহে তার ভাইঝির বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর কালীপদকে গ্রেপ্তার করা হয় শান্তিপুর থেকে। গোপন ডেরা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিস।
শুক্রবার ধৃত কালীপদকে রানাঘাট মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ন’দিন পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেন। অন্যদিকে, ধৃত নির্মল অসুস্থ থাকায় তাকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাই এদিন তাকে আদালতে তোলা হয়নি। পুলিসকর্তারা জানান, ধৃত নির্মল সুস্থ হলেই আদালতে তোলা হবে।
নির্মলের ভাইঝি প্রীতিলতা ঘোষ বলেন, বুধবার রাতে কাকা আমার বাড়িতে আসে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ির বাইরে থেকে সাদা পোশাকের পুলিস কাকাকে তুলে নিয়ে যায়।
নির্মল ঘোষ বিজেপির সাংগঠনিক ৩৮ নম্বর জেলা পরিষদ আসনের সভাপতি। এর আগে নির্মল হাঁসখালি তৃণমূল ব্লক সভাপতি দুলাল বিশ্বাস খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছিল। পরে জামিনে সে ছাড়া পায়। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন দিতে যাওয়ার পথে নির্মল আক্রান্ত হয়। অভিযোগ উঠেছিল, বিধায়কের দলবল তাকে মারধর করে।
বিজেপির নদীয়া (দক্ষিণ) সভাপতি জগন্নাথ সরকার বলেন, আমাদের দলের নেতা নির্মলকে ফাঁসানো হয়েছে। ওই এলাকায় ও সংগঠন মজবুত করছিল। লোকসভা নির্বাচনের আগে শাসকদলের এটা চক্রান্ত। চক্রান্ত করেই ওর নাম বিধায়ক খুনের ঘটনায় জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বিধায়ক খুন হওয়ার পরেই তৃণমূলের তরফে নির্মলকে চাপ দেওয়া হচ্ছিল দলে যাওয়ার জন্য। তৃণমূলে না গেলে বিধায়ক খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছিল। তৃণমূলের কাছে মাথা নত করেনি নির্মল। তবে ধৃত কালীপদ আমাদের সঙ্গে কোনওভাবেই যুক্ত নয়।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত বলেন, পুলিস তদন্ত করে নির্মল ঘোষের নাম পেয়েছে। তাই তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। কালীপদও বিজেপি কর্মী। আমরা পুলিসের তদন্তে নাক গলাই না।
এবিষয়ে পুলিস সুপার রূপেশ কুমার বলেন, ধৃত সুজিত মণ্ডল ও কার্তিক মণ্ডলকে জেরা করে নির্মলের নাম উঠে এসেছে। নির্মল ছাড়াও অভিযোগপত্রে নাম থাকা কালীপদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।