কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কেতুগ্রামের এহিহাপুর গ্রামের ওই বধূ ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন। সেই সময় প্রাচীর টপকে বাড়িতে ঢোকে ফজল। বধূর ঘরে ঢুকে তাঁর মুখে গরম তেল ঢেলে দেয় সে। তারপরই বধূর আর্তনাদে অভিযুক্ত যুবক পালিয়ে যায়। গরম তেলে ওই বধূর মুখের একাংশ পুড়ে যায়। ঘটনার সময় বধূর দুই মেয়ে ও এক ছেলে পাশেই ঘুমোচ্ছিল। মায়ের চিৎকার শুনে তাদের ঘুম ভেঙে যেতেই প্রতিবেশীদের ডাকে তারা। এরপরই পরিবারের লোকজন বধূকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
হাসপাতালে শুয়ে ওই বধূ বলেন, বিয়ের আগে থেকেই প্রতিবেশী যুবক ফজল আমাকে একাধিকবার কুপ্রস্তাব দেয়। ফোনে উত্যক্ত করত। আমাকে একাধিকবার আক্রান্ত করার চেষ্টা করে। শ্বশুড়বাড়ি থেকে মাস দুয়েক আগে আমি বাপেরবাড়িতে আসি। ফজল ফের আমাকে উত্যক্ত করা শুরু করে। কুপ্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় আমার উপর আক্রোশ আরও বেড়ে গিয়েছিল ফজলের। তার জেরেই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
আক্রান্ত বধূর দাদা বলেন, বছর দশেক আগে থেকেই ঘটনার সূত্রপাত। ফজল তখন থেকেই আমার বোনকে উত্ত্যক্ত করত। প্রতিবাদ করতে গেলে আমাদের মেরে ফেলার হুমকি দিত। তারপর ফজলের হাত থেকে বাঁচার জন্যই আমাদের বোনের তাড়াতাড়ি বিয়ে দিয়ে দিই। তাতেও ফজল বোনকে উত্যক্ত করা বন্ধ করেনি। এদিন আমরা রাতে মাছ ধরতে গিয়েছিলাম। বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগে সে আমাদের বাড়িতে ঢুকে এই কাণ্ড ঘটায়। তারপর থেকেই সে এলাকাছাড়া। তড়িঘড়ি বোনকে হাসপাতালে ভর্তি করি।