বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
আইজি (পশ্চিমাঞ্চল) বলেন, এই দিনটা পুলিস ও ঝাড়গ্রামবাসীর কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ দিন। আজ শিলদার পবিত্র ভূমিতে আমরা একত্রিত হয়েছি, ইএফআর জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানাতে। ৯ বছর আগে ২০১০ সালে মাওবাদীরা এই শিলদা ক্যাম্পে হামলা চালিয়েছিল। তাতে আমাদের ২৪জন জওয়ান শহিদ হয়েছিলেন। জওয়ানদের প্রতিরোধে পাঁচজন হামলাকারী মারা গিয়েছিল এবং কয়েকজন আহত হয়েছিল। সিআইডি এই কেসে চার্জশিট পেশ করেছে। যে সমস্ত মাওবাদী এই কেসে যুক্ত ছিল, তারা আত্মসমর্পণ করেছে। সবচেয়ে গৌরবের কথা, জঙ্গলমহল ও শিলদার মানুষজন এই পবিত্র ভূমিতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছেন।
আইজি আরও বলেন, একসময় এই জায়গার পরিস্থিতি খুব খারাপ ছিল। কোথায় ছিলাম তখন আমরা? মুখ্যমন্ত্রী, পুলিস-প্রশাসন এবং সর্বোপরি মানুষের যোগদানে আজকে এই এলাকায় শান্তি ফিরেছে। আমাদের আশা, সবাই মিলে এই শান্তি বজায় রাখা যাবে। এখনও অন্য রাজ্য থেকে অনেক সময় চেষ্টা করা হয় এখানকার শান্তি বিঘ্নিত করার। আমরা সবসময় সতর্ক রয়েছি। আমাদের যে দায়িত্ব রয়েছে, তা আমরা পালন করি। আগামী দিন এলাকায় শান্তি থাকবে।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি মাওবাদীরা শিলদা ইফএফআর ক্যাম্পে হামলা চালায়। ওই ঘটনায় ২৪জন ইএফআর জওয়ানের মৃত্যু হয়। ঘটনার পর শিলদার বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া ওই জায়গায় ইএফআর ক্যাম্পটি তুলে নেওয়া হয়। তারপর শিলদার অন্যত্র রাজ্য সশস্ত্র পুলিশের স্ট্র্যাকো জওয়ানদের ক্যাম্পটি করা হয়। ওই ২৪জন জওয়ানের স্মৃতির উদ্দেশে ২৪টি মেহগনি গাছ লাগানো হয়েছে। এদিন এলাকায় দুঃস্থ বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের বস্ত্র বিতরণ করা হয়। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পাঁচজনের হাতে ট্রাই-সাইকেল তুলে দেন পুলিস আধিকারিকরা।
তবে, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী শিলদার ঘটনাস্থলে শহিদ-তোরণ তৈরির কথা ঘোষণা করা হলেও আজ পর্যন্ত তা হয়নি বলে অভিযোগ। এ ব্যাপারে আইজি বলেন, শহিদ তোরণ করার বিষয়টি প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। টেন্ডার ডেকে খুব শীঘ্রই কাজ করা হবে। পরে এদিন দুপুরে ঝাড়গ্রাম শহরে সংস্কার করা এসডিপিও অফিসের দ্বারোদ্ঘাটন করেন আইজি।