কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকাল ৬টা ২০ মিনিট নাগাদ চাতরা রেলস্টেশনের কাছে ডাউন লাইনে মালগাড়ির দু’টি বগি লাইনচ্যুত হয়। তার ফলে ওই লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে মুরারই স্টেশনে হাওড়াগামী ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস, পাঁকুড় স্টেশনে সাহেবগঞ্জ বর্ধমান পাসেঞ্জার, তিলভিটা স্টেশনে শিয়ালদহগামী বারাণসী এক্সপ্রেস দাঁড়িয়ে পড়ে। ট্রেনগুলি দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকায় ভোগান্তির মুখে পড়েন যাত্রীরা। রামপুরহাট থেকে রেলের ক্রেন এনে বগি দু’টি লাইনে তোলা হয়। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হতে ন’টা বেজে যায়।
মুরারই রেল প্যাসেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম সদস্য জগন্নাথ সেবাদত্ত বলেন, বহু মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে এদিন সমস্যায় পড়তে হয়েছে। কারণ, এখানকার পরীক্ষার্থীদের চাতরার বিভিন্ন হাইস্কুলে সিট পড়েছে। তাদের লোকাল ট্রেন ধরে চাতরা যাওয়ার কথা ছিল। এদিন তাদের কার্যত বাদুড় ঝোলা হয়ে বিভিন্ন যন্ত্রচালিত ভ্যান বা বাস ধরে পরীক্ষাকেন্দ্রে যেতে হয়েছে। এছাড়া অনেকে চিকিৎসার জন্য রামপুরহাটে যাচ্ছিলেন। সঠিক সময়ে ট্রেন না পেয়ে তাঁদের অনেকে ফিরে যান। কেউ কেউ মোটা টাকা খরচ করে প্রাইভেট গাড়ি ভাড়া করে গন্তব্যে পৌঁছন। জগন্নাথবাবু বলেন, প্রায়ই রেললাইন পরীক্ষা করার নামে যাত্রীবাহী ট্রেন দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। কিন্তু, সেই পরীক্ষার ফল কী এমন হয়? নিশ্চয়ই নজরদারির কোনও অভাব রয়েছে।
মুরারই থেকে ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস ট্রেন ধরে রামপুরহাট স্টেশনে নামা ষাটোর্ধ্ব এক রোগীর আত্মীয় সরিফুল ইসলাম বলেন, এদিন রামপুরহাট হাসপাতালে বাবার ডায়ালিসিস করানোর দিন রয়েছে। সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে আসতে বলা হয়েছিল। কিন্তু, মালগাড়ি লাইনচ্যুত হয়ে যাওয়ায় মুরারই স্টেশনে আড়াই ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকল ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস। বাসে যা ভিড় তাতে রোগী নিয়ে ওঠা অসম্ভব ছিল। এখন ১০টা বেজে গিয়েছে। হাসপাতাল পৌঁছতে আরও কিছুক্ষণ সময় লাগবে। আজ আদৌ ডায়ালিসিস হবে কি না বুঝতে পারছি না। একইভাবে সমস্যায় পড়েন বহু অফিসযাত্রী। তাঁরা বলেন, মাস খানেক আগে একইভাবে রামপুরহাট ফটক দুয়ারের কাছে আপ লাইনে মালগাড়ি লাইনচ্যুত হয়। সেই সময়ও ট্রেন চলাচল দীর্ঘক্ষণ ব্যাহত থাকে। তাঁরা বলেন, ট্রেন বেড়েছে। কিন্তু, এখনও রেলের পরিকাঠামোর খামতি থেকে গিয়েছে। এদিন কোনও যাত্রীবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হলে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। এ ব্যাপারে পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক নিখিল চক্রবর্তী বলেন, ট্রেনযাত্রীদের অভিযোগ অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হবে।