বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
হুগলির রিষড়ার কেসি সেন রোডের স্বাতী সিংহ ডেন্টাল কলেজে চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। ৫ ফেব্রুয়ারি কলেজে কনজারভেটিভ পত্রের প্র্যাকটিক্যাল ও মৌখিক পরীক্ষা ছিল। স্বাতীর হার্টের সমস্যা ছিল। পরীক্ষার দিন তিনি রিষড়া থেকে ট্রেনে বর্ধমানে আসেন। টানা সাড়ে ৬ ঘণ্টা তিনি পরীক্ষার হলে ছিলেন। পরীক্ষা চলাকালীন তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। রাতে বাড়ি ফেরার পর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৬ ফেব্রুয়ারি সকালে তিনি মারা যান। ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক অতনু নাগ বলেন, হলের ভিতর একজন অসুস্থ পরীক্ষার্থী কলেজের বিভাগীয় প্রধানদের কাছ থেকে সহানুভূতি আশা করেন। তার পরিবর্তে তাঁকে মানসিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়। হাসপাতালের ডেথ সার্টিফিকেটে মানসিক যন্ত্রণার কারণে স্বাতী মারা গিয়েছেন বলে উল্লেখ রয়েছে। আর যাতে কেউ এই ধরনের মানসিক নির্যাতনের শিকার না হন তার জন্যই আমাদের বিক্ষোভ।
মৃতার সহপাঠী মহম্মদ আমদাদুল হক, হাউস স্টাফ অরিত্র দোশিয়া বলেন, পরীক্ষা চলাকালীন বারবার বমি করেছে স্বাতী। ওর প্রতি বিন্দুমাত্র সহানুভূতি দেখানো হয়নি। উল্টে পরীক্ষকরা স্বাতীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন। বিভাগীয় প্রধানরা তাঁদের মদত জুগিয়েছেন। স্বাতীর কয়েকজন সহপাঠী জানিয়েছেন, পরীক্ষা চলাকালীন তিনি খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েন। ট্রেনে করে বাড়ি ফেরার মতো অবস্থা ছিল না তাঁর। সে কারণে গাড়ি ভাড়া করে তাঁকে বাড়িতে পাঠানো হয়। স্বাতীর অসুস্থতার বিষয়ে পরীক্ষকদের বারবার বলা হয়। আগে পরীক্ষা নিয়ে নিলে স্বাতীকে ৬ ঘণ্টা অসুস্থ অবস্থায় হলে থাকতে হতো না। বাড়ি ফিরে চিকিত্সার সুযোগ পেত। দীর্ঘক্ষণ চিকিত্সা না হওয়ায় শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়।
বর্ধমান ডেন্টাল কলেজের অধ্যক্ষ জীবন মিশ্র বলেন, ছোট বয়স থেকেই স্বাতীর হৃদযন্ত্রের সমস্যা ছিল। অস্ত্রপচার হয়েছিল। তা সফল হয়নি। পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই স্বাতী অসুস্থ হয়ে পড়েন। কলেজের ছাত্ররা আমাকে বিষয়টি জানিয়েছে। এনিয়ে তদন্ত করা হবে। প্রয়োজনে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের সাহায্য নেওয়া হবে।