বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
পুরুলিয়ার পুলিস সুপার বলেন, বলরামপুরে গত ৫ ফেব্রুয়ারি কার্তিক গড়াই নামে এক বিজেপি কর্মী নিখোঁজ হয়। ওই বিজেপির কর্মীর স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস অপহরণের মামলা শুরু করে। জেলা পুলিসের পক্ষ থেকে সিট গঠন করে তদন্ত শুরু হয়। রবিবার কলকাতার সোনারপুরে একটি লজে আত্মগোপন করে থেকে ওই বাড়ি ভাড়া খুঁজছিল।
এসপি বলেন, কার্তিক একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে এজেন্টের কাজ করত। গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা আদায় করলেও তা ব্যাঙ্কে জমা করত না বলে অভিযোগ। ওই যুবকের প্রায় ১২ থেকে ১৩ লক্ষ টাকা দেনা হয়েছিল। দেনা থেকে মুক্তি পেতেই এই বিজেপি কর্মী অপহরণের গল্প ফাঁদে। রবিবার কার্তিকের বিরুদ্ধে কল্যাণ মাঝি নামে এক ব্যক্তি বলরামপুর থানায় আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছেন। কার্তিককে পাঁচদিনের পুলিসি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
কার্তিক অপরহণের নিখুঁত প্লট সাজিয়েছিল। তাকে ধাওয়া করা থেকে শুরু করে বজরং দলের এক কর্মীকে ফোন করে বাঁচানোর আর্তি সবই ছিল নিখুঁত। সেই মতো নিজের বাইক এক জায়গায় ফেলে রেখে মোবাইলের ব্যাটারি অন্যত্র ফেলে দিয়েছিল। পুলিসকেও বিভ্রান্ত করতেই এই পরিকল্পনা। এদিকে, কার্তিক নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই বলরামপুরের বিজেপি নেতা কর্মী থেকে শুরু করে জেলা নেতারাও গোটা ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন। আগ বাড়িয়ে বিজেপির কিছু নেতা আবার বলরামপুরের আগের দু’জন বিজেপি কর্মীর মতো কার্তিককে খুন করা হয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে গুজব ছড়ানোরও চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু, সব পরিকল্পনায় জল ঢেলে দেয় কার্তিকের দেনার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর।
বলরামপুরের বাসিন্দা তথা বিজেপির পুরুলিয়া জেলার সম্পাদক বাণেশ্বর মাহাত বলেন, কার্তিক প্রশাসনের পাশাপাশি বিজেপি দলকেও বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিল। এমনকী, বাঁচানোর আর্তি জানিয়ে ফোন করে নাটকও করেছিল। ঘটনার পর থেকেই পুলিস তাকে খুঁজতে তৎপর ছিল। ওর দেনার বিষয়টি আমরা আগে সেই ভাবে জানতে পারিনি। তবে পুলিসের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
এবিষয়ে ওই বিজেপি কর্মীর দাদা বুদ্ধেশ্বর গড়াই এবং ভাইপো কৈলাস গড়াই বলেন, দেনার বিষয়টি পরিবারের কারও জানা ছিল না। পুলিস উদ্ধার করে এনেছে বলে শুনেছি। তবে এখনও দেখা হয়নি। ওর সঙ্গে কথা না বলে পুলিসের দাবির বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। এবিষয়ে উদ্ধার হওয়া বিজেপি কর্মী কার্তিক গড়াইকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ছবি তোলার হলে ছবি তুলন। তবে অন্য কিছু বিষয়ে বলতে পারব না।
এবিষয়ে তৃণমূলের পুরুলিয়া জেলা সাধারণ সম্পাদক নব্যেন্দু মাহালি বলেন, ঘটনার প্রথম দিন থেকেই আমরা বলে আসছিলাম, কার্তিকের নিখোঁজের ঘটনায় কোনওভাবেই তৃণমূল জড়িত নয়। বিজেপি তৃণমূলের নাম জড়িয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করেছিল। এখন সত্যিটা প্রকাশ্যে এসেছে। এলাকার মানুষ বুঝতে পারছেন, বিজেপি কত নোংরা রাজনীতি করে।