বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
এলাকার বাসিন্দারা বলেন, ওই পাহাড়ের চূড়ায় রয়েছে শিব মন্দির। সেখানে পুজো দেওয়ার জন্য অনেক পরিশ্রম করে ওঠেন পুণ্যার্থীরা। কিন্তু এখন সেখানে ভিড় জমাচ্ছেন প্রেমিক প্রেমিকারা। পাহাড়ের চূড়ায় মন্দিরে প্রবেশ করা তেমন ঝুঁকির কাজ নয়। কিন্তু টিনএজাররা একেবারে কিনারায় গিয়ে সেলফি তোলায় মাতছেন। যেকোনও সময় পাথর সরে গিয়ে বিপদ ঘটতে পারে। কল্যাণেশ্বরী মন্দির ও মাইথন জলাধারের মাঝখানে থাকা এই পাহাড়ের চূড়ার পাথর নীচে পড়ার ঘটনা মাঝেমধ্যেই ঘটে। তাই বিপদ হওয়া অসম্ভব নয়।
মাইথনে ঘুরতে আসা হুগলির বলাগড়ের পর্যটক সৌমেশ্বর মজুমদার বলেন, ওদের দেখেই ভয় লাগছে। একটু অসাবধান হলেই দুর্ঘটনা নিশ্চিত। এমনিতে পাহড়ের চূড়ায় কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেই মনে হচ্ছে মাথা ঘুরে যাচ্ছে। আর ওরা পুরো পাহাড়ের দৃশ্যের সঙ্গে নিজেদেরকে ক্যামেরাবন্দি করার জন্য কিনারাতে যাচ্ছে। এলাকার বাসিন্দারা বলেন, আগে এই পাহাড়ে ওঠার হিড়িক তেমন ছিল না। বাইরে থেকে কিছু অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় লোকজন সেখানে যেতেন। আর এখন সকাল থেকে অল্পবয়সিরা সেখানে উঠছেন। ৩৮২টি সিঁড়ি বেয়ে পাহাড়ের চূড়ায় উঠতে যথেষ্টই বেগ পেতে হয়। কিন্তু ওদের কাছে তেমন কিছু বড় বিষয় নয় এটা। এক সময় এই পাহাড়ে ওঠার জন্য সিঁড়ি ছিল না। পাহাড়ের কোল বেয়ে চূড়ায় উঠতে হতো। এখন সিমেন্ট দিয়ে বাঁধিয়ে সিঁড়ি করা হয়েছে। ওই এলাকার বাসিন্দা হরেরাম দাস বলেন, অল্প বয়সিদের উপরে উঠতে বাধা দিলেও শোনে না। তর্ক জুড়ে দেয়। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছেলেমেয়েরা এখন এখানে আসেন। পাহাড় থেকে মাইথন জলাধার সহ পুরো এলাকার ছবি তোলা যায়। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অপরূপ। সেই কারণেই ছবি তোলার হিড়িক বেশি হয়। আসানসোলের ইসমাইল থেকে আসা এক যুবক তাঁর প্রেমিকাকে সঙ্গে নিয়েই এসেছিলেন। তিনি বলেন, যথেষ্ট সচেতনতার সঙ্গেই স্টিকের মাধ্যমে সেলফি তুলেছি। ভয়ের কী আছে! মরতে তো একদিন হবেই। তাছাড়া বছরের অন্যান্য সময় আসা হয় না। আমার মতো আরও অনেকেই এখন আসছে। কোনওদিন কারও কিছু হয়েছে বলে শুনিনি। এই সময় একটু অন্য ফ্রেমের ছবি দরকার আছেই। তাঁর পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা আরএক যুবক বলেন, এত ভাবলে তো আর পথেই বেরনো যাবে না। রাস্তায় চলতে গেলেও যেকোনও সময় দুর্ঘটনা হতে পারে। আর পাহাড় থেকে পড়লে দু’জনেই এক সঙ্গে পড়ব। ওসব নিয়ে ভাবি না। যা হবে দেখা যাবে।