বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
এবছর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫৬ হাজার ৫৫২ জন। এর মধ্যে ছাত্র ২৬ হাজার ২২৭জন। ছাত্রী ৩০ হাজার ৩২৫ জন। পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ১২৩টি। ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার জন্য এবার নতুন করে দু’টি কেন্দ্র বাড়ানো হয়েছে। গতবারের থেকে এবার ৯৫২ জন কম পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেবে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের জেলা মনিটরিং টিমের কনভেনার রাজীব মান্না বলেন, সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সব পরীক্ষা কেন্দ্রে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষার জন্য থাকবেন সরকারি আধিকারিকরা। মেডিক্যাল টিমেরও ব্যবস্থাও থাকছে।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, পরীক্ষার্থী ও অভিভাবক অভিভাবিকাদের সুবিধার্থে পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে নির্দিষ্ট দূরে দলের তরফে শিবিরের ব্যবস্থা করা হবে। সেখানে জল, চা, অভিভাবকদের বসার জন্য ব্যবস্থা রাখা হবে। সব ব্লক ও পুর এলাকায় এই ব্যবস্থা থাকবে।
অন্যদিকে, পূর্ব মেদিনীপুরেও এবার পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রদের থেকে ছাত্রীদের সংখ্যা অনেক বেশি। এবছর জেলায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৬১ হাজার ৯১৮ জন। এর মধ্যে ছাত্রের সংখ্যা ২৮ হাজার ৯৬৭জন। ছাত্রীর সংখ্যা ৩২ হাজার ৯৫১ জন। পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ১০৬টি। আগের বছরও ছাত্রদের থেকে ছাত্রীদের সংখ্যা অনেকটাই বেশি ছিল। তবে গতবারের তুলনায় এবার জেলায় ১৫২৭জন পরীক্ষার্থী কমেছে।
অপরদিকে, ঝাড়গ্রাম জেলায় প্রত্যন্ত এলাকার পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দিতে এবারই প্রথম সরকারিভাবে বাস, ট্রেকার সহ অন্যান্য যানবাহনের ব্যবস্থা করেছে জেলা প্রশাসন। যে সব জায়গায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো নয়, সেখানে সরকারিভাবে বাস বা ছোট গাড়ির সাহায্যে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছতে পারবে পরীক্ষার্থীরা।
জেলাশাসক আয়েষা রানি এ বলেন, প্রত্যন্ত এলাকার পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের পৌঁছে দেওয়ার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে, এই জেলায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা গত বছরের তুলনায় বেড়েছে। জেলায় ছাত্রের তুলনায় ছাত্রীর সংখ্যা বেশি। গতবারের তুলনায় এবার ৪৫৭ জন বেশি পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেবে। জেলায় মোট ১৫ হাজার ৮৯ জন পরীক্ষার্থী মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসবে। তার মধ্যে ছাত্র ৬ হাজার ৯৩৯ জন এবং ছাত্রী ৮ হাজার ১৫০ জন। গত বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৪ হাজার ৬৩২ জন। জেলায় এবার মোট ৩৩টি পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা হবে।
এবার মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন সেন্টার সেক্রেটারি, সেন্টার সুপার ভাইজার ও ভেনু ইনচার্জ। যাঁরা পরীক্ষার ডিউটিতে থাকবেন, তাঁরা কোনওভাবেই মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন না। সেন্টার সেক্রেটারির কাছে মোবাইল জমা দিতে হবে। পাশাপাশি পরীক্ষা কেন্দ্রে ভাঙচুর ঠেকাতে এবার বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মাধ্যমিকে ঝাড়গ্রাম জেলার কনভেনার তপনকুমার পাত্র বলেন, গত বারের থেকে এবার মূল পরীক্ষাকেন্দ্র একটি বেড়েছে। প্রতিটি ব্লকে একটি করে অ্যাম্বুলেন্স ও প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে একটি মেডিক্যাল টিম থাকবে।
তিন জেলাতেই অসুস্থ পরীক্ষার্থী কিংবা কেউ পরীক্ষাকেন্দ্রে যেতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভেনু সুপারভাইজার বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তাদের এই বিষয়টি দেখার জন্য বলা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি থেকে শুরু করে সবরকম পরিস্থিতির মোকাবিলায় তিন জেলারই পুলিস প্রশাসন তৈরি রয়েছে। পরীক্ষা কেন্দ্রের আশেপাশে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হবে। পরীক্ষার দিনগুলিতে পরীক্ষা কেন্দ্রের আশেপাশের জেরক্স সেন্টারগুলি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।