পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সরস্বতীপুজোর পরের দিন পুরুলিয়া জেলার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বাসিভাত ও সিজনা পরব পালন করেন বাসিন্দারা। সরস্বতী পুজোর দিন দিনভর বিভিন্ন পদের রকমারি রান্নার পর পরের দিন ষষ্ঠীপুজো করে অরন্ধন পালন করেন বাসিন্দারা। সেই উপলক্ষে রবিবার সকাল থেকেই মাছ কেনার জন্য বাজারে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। পুরুলিয়া শহরের বড়হাটে আড়তদার জয়ন্ত ধীবর বলেন, এদিন শুধু বড়হাটের জন্য অন্ধ্রপ্রদেশের মাছ আসে প্রায় ৩২ টন। এছাড়াও ময়নার মাছ প্রায় ৫০কুইন্টাল এবং দেশি মাছ এসেছিল প্রায় ৩০কুইন্টাল।
মাছ বিক্রেতারা জানান, বড়হাট ছাড়াও জেলার চাষমোড়, আদ্রা সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে স্থানীয় ও বাইরের প্রচুর মাছ বিক্রি হয়। চাষমোড় এলাকাতেই প্রায় ৩০থেকে ৩৫টন মাছ এদিন বিক্রি হয়। এছাড়াও বসিরহাট থেকে এদিন প্রায় ১০কুইন্টাল মাছ পুরুলিয়া জেলায় আসে। বড়হাটের মাছ বিক্রেতা বাবলু ধীবর, মানিক ধীবর, লিল্টু ধীবর বলেন, বাসিভাতের জন্য মূলত রুই, কাতলা ও মৃগেল সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়। এদিন ৪কিলোগ্রামের বেশি বড় সাইজের কাতলা প্রায় ৪০০টাকা কেজি দরে এবং মাঝারি সাইজের দেশি কাতলা বিক্রি হয়েছে প্রায় ৩০০টাকা দরে। দেশি রুইয়ের কেজি প্রতি দাম প্রায় একই রকম।
তবে ময়না ও বসিরহাট থেকে আসা মাছ এবং অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে আসা মাছের দাম তুলনামূলক কম ছিল। বড় রুই, কাতলার সঙ্গে এদিন সংখ্যায় কম হলেও চারাপোনা, কাটা পোনা ও ছোট তেলাপিয়া মাছও প্রায় ১৪০টাকা থেকে ১৮০টাকা দরে বিক্রি হয়েছে বলে জানান মাছ বিক্রেতা সাগর ধীবর। এদিন সামুদ্রিক মাছের চাহিদা ছিল না।
পুরুলিয়া শহরের বাসিন্দা উজ্জ্বল কুণ্ডু, অর্ণব সেন বলেন, বড়হাটে যেতে দেরি হওয়ায় দেশি মাছ আর পাইনি। তাই বাধ্য হয়ে অন্ধ্রের মাছই কিনতে হয়েছে।
পুরুলিয়া শহরের নডিহার বাসিন্দা বিশ্বনাথ পালিত ও পিয়ালি পালিত বলেন, রবিবার সারাদিন ধরে বিভিন্ন রকমের রান্না করা হয়। হরেক রকম মাছের বিভিন্ন পদের পাশাপাশি পাঁচরকমের আনাজ ও পাঁচরকমের কলাই সিদ্ধ করা হয়। পরের দিন সকালে নিয়ম মেনে ষষ্ঠীপুজোর পাশাপাশি বাড়ির শিল-নোড়ারও পুজো করা হয়। অরন্ধন পালিত হয় সেদিন। ওইদিন বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়দেরও নিমন্ত্রণ করা হয়।