বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরে আসানসোলে তাদের তিনটি গোষ্ঠী সক্রিয় হয়ে উঠেছিল। নিতান্ত বাধ্য না হলে একইমঞ্চে তিন গোষ্ঠীর নেতাকে দেখা যেত না। কিন্তু, অরূপবাবুর কড়া বার্তার পর থেকে ছবিটা বদলাতে শুরু করেছে। আসানসোল এবং রানিগঞ্জে সরকারি অনুষ্ঠানে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর নেতাদের একইমঞ্চে বসতে দেখা যায়। মঞ্চে দুই গোষ্ঠীর নেতারা খোশ মেজাজে ছিলেন। তাঁদের একে-অপরের সঙ্গে গল্প করতেও দেখা যায়। তাঁরা আসানসোলে পুলিসের অন্য একটি অনুষ্ঠানেও যোগ দিয়েছিলেন। অন্য একটি গোষ্ঠীর নেতাও ওই অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দুর্গাপুরে জনসভা করার পর পশ্চিম বর্ধমানের তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাস দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সেখানেই এক গোষ্ঠী অন্য গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেয়। তাঁদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হতে থাকে। পরে অরূপবাবু সব গোষ্ঠীর নেতাকে একসঙ্গে লড়াইয়ের ময়দানে নামার নির্দেশ দেন। তারপর থেকেই ছবিটা বদলাতে থাকে। রাজনৈতিক মহলের মতে, দুর্গাপুর ও আসানসোল দু’টি এলাকাতেই বিজেপি মাথা তুলেছে। বিধানসভা নির্বাচনে শিল্পাঞ্চলে তারা কোথাও খাতা খুলতে না পারলেও সম্প্রতি বিজেপির কর্মসূচিগুলিতে ভালোই ভিড় হয়েছে। কয়েকদিন আগে দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাতেও মাঠ ভর্তি হয়ে যায়।
জেলার রাজনৈতিক মহল বলছে, শিল্পাঞ্চলে বিজেপির তেমন সংগঠন না থাকলেও গেরুয়া শিবিরে ভিড় বাড়ছে। তাই জেলায় তৃণমূলের নেতারা একজোট হয়ে সেই ভিড় আটকানোর চেষ্টা না করলে লোকসভা নির্বাচনে তাদের বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হতে পারে। তৃণমূল নেতৃত্বর অবশ্য দাবি, এবার আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হওয়া তাদের কাছে প্রেস্টিজ ইস্যু। সেই কারণে সব গোষ্ঠীই দ্বন্দ্ব ভুলে ময়দানে ঝাঁপাবে। শুক্রবার থেকেই তার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে।
পশ্চিম বর্ধমানের তৃণমূলের জেলা সভাপতি ভি শিবদাসন দাসু বলেন, জেলাজুড়ে বিভিন্ন কর্মসূচি চলছে। সবাই একজোট হয়ে কাজ করছেন। বিরোধীরা যতই কুৎসা করুক না কেন, কোনও লাভ হবে না।