পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
থিমের সরস্বতী পুজোয় মাতোয়ারা হয় সুতাহাটার অনন্তপুর, জামালচক সহ কয়েকটি গ্রাম। গ্রামবাসীরাই চাঁদা তুলে চারদিনের সারস্বত উৎসবে মাতেন। এক কিলোমিটারের মধ্যে ১৮-২০টি ছোট-বড় পুজো হয়। এখানে প্রায় ৪০বছর ধরে পুজো হচ্ছে। ঋষি অরবিন্দ, নেতাজি পাঠাগার, আমরা সবাই, চিরনবীন, বাণীশ্রী, সাথী, দিশারির মতো ১০-১২টি বড় পুজো কমিটির থিমের সরস্বতী দেখতে প্রতিবছর ভিড় শহরের লোকজনও। এবার পরীক্ষার কথা মাথায় রেখে প্রতিটি পুজো কমিটিই বাজেট অর্ধেক করে দিয়েছে।
এবার নেতাজি পাঠাগারের রেশমের সরস্বতী প্রতিমা সবার নজর কাড়বে। পুজোর বাজেট কমিয়ে তারা ২লক্ষ টাকা করেছে। ঋষি অরবিন্দের মণ্ডপ তৈরি হয়েছে কাল্পনিক মন্দিরের আদলে, প্রতিমা সাবেকি। বাজেট এবার কমে হয়েছে দেড় লক্ষ টাকা। সাথীর ফুলের তৈরি মণ্ডপ আকর্ষণীয় হয়েছে। এবার নজরকাড়া মণ্ডপ তৈরি করেছে আমরা সবাই। তাদের থিম প্রাণের স্পন্দন। সূর্যের আলো কীভাবে পৃথিবীতে জীবনের সঞ্চার ঘটাচ্ছে তা পাটকাঠির তৈরি মণ্ডপে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। বাণীশ্রী তৈরি করেছে গুহার আদলে মণ্ডপ। শনিবার দুপুর থেকেই মণ্ডপ ও ঠাকুর দেখতে ভিড় হয়।
স্থানীয় শিক্ষক জয়দেব পাল বলেন, ইদানীং থিমের সরস্বতী পুজোর জন্য আমাদের গ্রামের নাম বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে। এবার মাধ্যমিকের একদিন আগে সরস্বতী পুজো পড়ায় উন্মাদনা খানিকটা কম। কারণ গ্রামের শতাধিক ছাত্রছাত্রী মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে। পুলিস নির্দেশ দিয়েছে সোমবারই সব প্রতিমা বিসর্জন দিতে হবে।
মহিষাদলে কয়েকটি থিমের সরস্বতী পুজো হয়। এদের মধ্যে অন্যতম সিনেমা মোড়ের ছাত্র সমন্বয়ের পুজো। পুজোর উদ্যোক্তা চিকিৎসক নীলাঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, মাধ্যমিকের জন্য আমরা এবার শুক্রবার পুজো উদ্বোধন করেছি। হলদিয়ার মহকুমা শাসক কুহুক ভূষণ পুজো উদ্বোধন করেন।
হলদিয়ার টাউনশিপে বিভিন্ন শিল্প সংস্থার আবাসন এলাকায় প্রতিবছর বড়মাপের সরস্বতী পুজো ও নানা অনুষ্ঠান হয় দু’তিন দিন ধরে। কিন্তু, এবছর প্রায় প্রত্যেক পুজো উদ্যোক্তাই অনুষ্ঠান কমিয়ে দিয়েছে। মাখনবাবুর বাজারের কারকৃৎ সমাজকল্যাণ সংস্থার অন্যতম কর্মকর্তা চঞ্চল প্রধান বলেন, পরীক্ষার জন্য আমাদের পুজো একদিন আগেই শুরু হচ্ছে। পুজোর দিন বিকেলে আমরা পিঠেপুলির উৎসব করছি। এদিকে, অন্যরকম সরস্বতী পুজো করছে হলদিয়া ব্লকের মূক ও বধিরদের স্কুল শ্রুতি’র পড়ুয়ারা। প্রতিবন্ধী পড়ুয়াদের সঙ্গে নিয়ে শিক্ষক বিশ্বজিৎ মণ্ডল স্কুলের দেওয়ালজুড়ে রঙিন আল্পনা এঁকেছেন। তিনি বলেন, ছাত্রছাত্রীরাই বেশিরভাগ এঁকেছে। অন্য সাধারণ পড়ুয়াদের মতো ওরাও যাতে সরস্বতী পুজোয় আনন্দ করতে পারে সেজন্য এই পরিকল্পনা করেছি।