পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
এদিনের অনুষ্ঠানে শুভেন্দুবাবু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সভাধিপতি দেবব্রত দাস, হলদিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান শ্যামল আদক, জেলা প্রথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান মানস দাস, স্কুলের সম্পাদক দেবপ্রসাদ মণ্ডল প্রমুখ। স্কুলের প্রধান শিক্ষক হরিদাস ঘটক বলেন, স্কুলে আধুনিকমানের ল্যাবরেটরি তৈরির এই প্রকল্পটির নাম ‘অটল টিংকারিং ল্যাব’। এই ল্যাবরেটরি তৈরির জন্য ২০লক্ষ টাকা পাওয়া যাবে। প্রথম দফায় স্কুল ১২লক্ষ টাকা পেয়েছে। পরে প্রতি বছর ২লক্ষ টাকা করে চার বছরে আরও ৮লক্ষ টাকা পাওয়া যাবে। টিংকারিং অর্থাৎ খেলাচ্ছলে বিজ্ঞানের মডেল তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে এখানে।
স্কুলের শিক্ষক দিলীপ দিন্দা বলেন, এই ল্যাবের জন্য ক্লাস সিক্স থেকে ইলেভেন পর্যন্ত ৮০জন আগ্রহী ছাত্রছাত্রীকে মেন্টাল এবিলিটি টেস্ট করে প্রথমে বাছাই করা হয়েছে। এখানে ছাত্রছাত্রীদের বিজ্ঞানের নানা ঘটনার কার্যকারণ সম্পর্ক বা লজিক্যাল এবিলিটি যাচাই করার পর মডেল তৈরির সুযোগ দেওয়া হয়েছে। পদার্থবিদ্যার উপর দাঁড়িয়ে ইলেকট্রনিক্স মডেল তৈরিতে জোর দেওয়া হয়েছে। ব্যবহারী বিজ্ঞান মডেল শেখাতে এই ল্যাব খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ল্যাবের অন্যতম প্রশিক্ষক ভাস্কর দাস বলেন, যুগপোযোগী ইলেক্ট্রনিক্স মডেল নিয়ে এখানে কাজকর্ম হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের সেন্সর ব্যবহার করে শিক্ষকদের সহযোগিতা নিয়ে পড়ুয়ারা ড্রোন তৈরি করে আমাদেরও তাক লাগিয়েছে। এই ল্যাবে প্রথমে ছাত্রছাত্রীদের নানা ধরনের ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জাম দেওয়া হচ্ছে। এই সরঞ্জাম চেনানোর পাশাপাশি সেগুলি জুড়ে মডেল তৈরি করতে বলা হচ্ছে। এজন্য একটা গাইডলাইনও বেঁধে দেওয়া হচ্ছে। খুশিমতো মডেল নয়, সমাজের কাজে লাগবে, এই ধরনের মডেল তৈরি করতে বলা হয় ছাত্রছাত্রীদের। তাদের উদ্ভাবনী চিন্তা দেখে স্কুলের শিক্ষকরাও রীতিমতো খুশি।
একটা ক্যামেরা লাগানো রেসিং ড্রোন তৈরি করতে ১লক্ষ টাকা খরচ পড়ে। বিবেকানন্দ বিদ্যাভবনের পড়ুয়ারা ক্যামেরা ছাড়া ড্রোন তৈরি করেছে মাত্র ১২০০টাকায়। ছাত্রছাত্রীদের দাবি, মোবাইলে অ্যাপ লোড করে তারা এই ড্রোনটি ওড়াতে সক্ষম হয়েছে। প্রায় ৪০ফুট উঁচুতে আধ ঘণ্টা ধরে উড়তে পারে। তবে এটি ক্যামেরার ওজন নিতে এখন সক্ষম নয়। প্রপেলার ঘুরিয়ে এভাবে ড্রোন ওড়াতে পেরে খুশি শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরা।
এছাড়া তারা একটি লাইন ফলোয়িং রোবট তৈরি করেছে আল্ট্রাসোনিক সেন্সর ব্যবহার করে। এটি গাড়িতে ব্যবহার করলে দুর্ঘটনা কমবে। আল্ট্রাসোনিক সেন্সর থাকায় হঠাৎ গাড়ির সামনে কিছু এলে সেটি দাঁড়িয়ে পড়বে। এটি তৈরি করতে প্রায় ১৫হাজার টাকা খরচ পড়েছে। সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফের প্রচারে এই যন্ত্র কাজে লাগবে।
একটি থ্রিডি প্রিন্টার তৈরি করে পড়ুয়ারা, যার মাধ্যমে তারা আইনস্টাইনের থ্রিডি ছবি তৈরি করেছে। ইনফ্রা রেড সেন্সর ব্যবহার করে বানিয়েছে রোবোটিক ক্রেন, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য বিশেষ মডেল। ফুটপাতের তলায় লাগানো থাকবে সেন্সর ও ব্যাটারি। পথচারীদের পায়ের চাপ পড়লেই সেখানে বিদ্যুৎ তৈরি হবে এবং পথবাতি জ্বলবে। অন্য সময়ে আলো নিভে থাকলে বিদ্যুৎ খরচ কমবে শহরে।