পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
লোকসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে রাজ্যে কয়েক মাস আগেই প্রশাসনিক মহলে রদবদল শুরু হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক মাস আগে তিন বছরের বেশি সময় ধরে বিভিন্ন জেলায় কর্মরত অফিসারদের নামের তালিকা জেলাগুলি থেকে সংগ্রহ করেছে নবান্ন। ইতিমধ্যে সেই তালিকা ধরে প্রশাসনিক মহলে কিছুটা রদবদল করা হয়েছে। বিডিও, এসডিও, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট, অতিরিক্ত জেলাশাসকদের একাংশকে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় বদলি করা হয়েছে। শীঘ্রই আরও কিছু অফিসারের বদলির নির্দেশ জারি হবে।
এই অবস্থায় নিজের জেলায় পুলিসের সাব ইন্সপেক্টর পদে কর্মরত অফিসারদের নামের তালিকা নির্বাচন কমিশন জেলাগুলির কাছে চেয়েছে। কয়েকদিন আগে কলকাতায় ডিএম ও এসপিদের সঙ্গে বৈঠকে কমিশনের আধিকারিকরা সেই তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ওই এসআইদের অনেকেই বিভিন্ন থানায় ওসির দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে একাংশের সঙ্গে শাসকদল তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ। তাই ভোটের আগে কমিশন ওই এসআইদের অন্য জেলায় বদলি করতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। এজন্য কমিশন ওই অফিসারদের তালিকা চেয়েছে।
কমিশনের ওই নির্দেশে মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিস হোম ডিস্ট্রিক্টে কর্মরত এসআইদের নামের তালিকা তৈরি করেছে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে জেলায় ২৫০জন এসআই আছেন। যার মধ্যে ৪৭জনই এই জেলার বাসিন্দা। কমিশনের নির্দেশমতো ওই অফিসারদের নাম, বাড়ির ঠিকানা, কর্মরত থানার নাম, ঠিকানা প্রভৃতি তথ্য নথিভুক্ত করা হয়েছে। জেলার পুলিস সুপার মুকেশ কুমার বলেন, তিন বছরের বেশি সময় ধরে থানায় কর্মরত অফিসারদের রদবদল করা হয়েছে। এখন কমিশন হোম ডিস্ট্রিক্টে কর্মরত এসআইদের নামের তালিকা চেয়েছে। তা-ও তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
পুলিস ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিগত বিভিন্ন নির্বাচনে বুথগুলিতে প্রদত্ত ভোটের হার, এলাকাগুলির আইনশৃঙ্খলার অবস্থা, দুষ্কৃতীদের গতিবিধি, সাম্প্রতিককালে ঘটা গোলমাল, রাজনৈতিক পরিস্থিতি প্রভৃতি দিক পর্যালোচনা করে স্পর্শকাতর বুথের তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে বিডিও ও থানার ওসিদের যৌথভাবে ওই কাজ করতে বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ শিবিরেও আলোচনা করা হয়েছে বলে পুলিস ও প্রশাসনের অফিসাদের একাংশ জানিয়েছেন।
এনিয়ে বিভিন্ন মহলের বক্তব্য, ভোটের দিন ঘোষণা হওয়ার পর এরিয়া ডমিনেশনে জোর দেওয়া, দুষ্কৃতীদের বাগে আনা এবং ভোটগ্রহণের কাজ নির্বিঘ্নে করতে কমিশন এতটা তৎপর হয়েছে। মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিসের এক অফিসার বলেন, জেলার আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখতে জেলা পুলিস সর্বদা সতর্ক রয়েছে। ইতিমধ্যে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা ও গুলি উদ্ধার হয়েছে। বেশ কিছু অস্ত্র কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি, কমিশনের নির্দেশমতো স্পর্শকাতর বুথের তালিকা প্রস্তুতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।