পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
পুলিস ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম রাজ মির্ধা (২৭)। বাড়ি খয়রাশোলের ভাগাবাঁধ আদিবাসী পাড়ায়। বুধবার সন্ধ্যায় অসুস্থ ছেলের জন্য খয়রাশোল বাজার থেকে ওষুধ কিনে সাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন রাজ। গ্রামে ঢোকার মুখে বাবুইজোর রাস্তার উপর একটি বেসরকারি বাসের ধাক্কায় তিনি গুরুতর জখম হন। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে নাকরাকোন্দা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও পরে সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্তের পর সন্ধ্যার দিকে মৃতদেহ নিয়ে থানায় এসে ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ওই গ্রামের আদিবাসীরা। তাঁরা গ্রামে ঢোকার মুখে রাস্তার উপর হাম্প তৈরিরও দাবি করেন। এনিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। তাঁরা মৃতদেহ রাস্তায় রেখে টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করেন। এর জেরে রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয়। কয়েক ঘণ্টা ধরে অবরোধ চলার পর রাত আড়াইটে নাগাদ পুলিস ও বাস মালিকের আশ্বাসে অবরোধ ওঠে।
আদিবাসী উন্নয়ন গাঁওতার সম্পাদক সুনীল সোরেন বলেন, আদিবাসীদের দাবি ন্যায় সঙ্গত। পুলিস ওই আদিবাসী পরিবারের পাশে দাঁড়ানোয় আমরা ধন্যবাদ জানাচ্ছি। খয়রাশোল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শ্যামল গায়েন বলেন, আদিবাসীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে সমস্যার সমাধান হয়ে গিয়েছে।
অন্যদিকে, শুক্রবার ভোরে রানিগঞ্জ-মোড়গ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে রামপুরহাটের মাঝখণ্ড এলাকায় পথ দুর্ঘটনায় এক বাইক আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনায় আর এক বাইক আরোহী গুরুতর জখম হয়েছেন। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম কাজ আলম (৪২)। তাঁর গ্রামের বাড়ি মল্লারপুর থানার রসুলপুরে। বর্তমানে তিনি পরিবার নিয়ে রামপুরহাটের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। এদিন ভোরে গ্রামের বাড়ি থেকে বাইক চালিয়ে তিনি রামপুরহাটে আসছিলেন। বাইকের পিছনে বসেছিলেন ওই গ্রামেরই বদরুল আলম নামে এক যুবক। মাঝখণ্ড গ্রামের কাছে সড়কের ধারে দাঁড়িয়ে থাকা একটি লরির পিছনে বাইকটি সজোরে ধাক্কা মেরে দু’জনেই রাস্তায় ছিটকে পড়েন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক কাজ আলমকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।