দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
গত ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশের পর সাংবাদিক বৈঠক করে লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতা মল্লিকার্জুন খার্গে বলেছিলেন, বিজেপিকে হটাতে আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে জোট করার প্রয়োজন রয়েছে। এদিন অবশ্য প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতির গলায় বিপরীত সুর। জোট প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি তৃণমূলের সঙ্গে জোট হবে না। কংগ্রেস ক্ষমতার জন্য নয়, আদর্শের জন্য লড়াই করে। কংগ্রেসই একমাত্র রাজনৈতিক দল যারা প্রথম থেকেই সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। সেই লড়াইকে উৎসাহিত করতে ১৯ জানুয়ারি তৃণমূলের ডাকে ব্রিগেড সমাবেশে কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা উপস্থিত হয়েছিলেন। উদাহরণ স্বরূপ তিনি বলেন, উত্তরপ্রদেশে যখন অখিলেশ মায়াবতীর জোট হয়, তখন দুবাই থেকে রাহুল গান্ধী বার্তা দিয়েছিলেন, বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে আমার সম্পূর্ণ মত আছে। তাহলে কী বামফ্রন্টের সঙ্গে কংগ্রেস জোট করে লড়াই করবে? উত্তরে তিনি বলেন, আগে আমরা নিজের পায়ে দাঁড়াই। তারপর কার সঙ্গে জোট করব ভাবব। আপাতত আমরা একলা চল নীতি নিয়েছি। তবে তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে কেউ লড়াইয়ে আমন্ত্রণ জানালে আমরা যাব।
কংগ্রেস কি নেতাজিকে ভুলে গিয়েছে? উত্তরে তিনি বলেন, ভুলিনি। কংগ্রেস নেতাজিকে শ্রদ্ধা জানায় বলেই প্লানিং কমিশন করেছিল। যেটা নেতাজির স্বপ্ন ছিল। কিন্তু, বিজেপি এসেই প্লানিং কমিশন তুলে দিল।
সংসদ সদস্য প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, জেলা পরিষদের সভাধিপতি পাঁচ হাজার টাকা মাইনে পান। আর সভাধিপতির উপর মনিটরিংয়ের জন্য আর একজনকে নিয়োগ করা হচ্ছে। তিনি ১০ হাজার টাকা মাইনে পাবেন। তাঁর দায়িত্ব হবে জেলা পরিষদের তদারকি করা। এই রাজ্যে সবকটি জেলা পরিষদ তৃণমূলের দখলে। তাহলে কি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সভাধিপতিদের উপর আস্থা হারিয়েছেন? তাই তাঁদের মনিটরিংয়ের জন্য একজনকে নিয়োগ করতে হচ্ছে। এটা সংবিধান বিরোধী। অবিলম্বে এই আদেশ প্রত্যাহার করতে হবে।
সংসদ সদস্য তথা পশ্চিমবঙ্গের অবজার্ভার অসমের কংগ্রেস নেতা গৌরব গগৈই বলেন, দেশের লোক জেনে গিয়েছেন চৌকিদার চোর। তিন রাজ্যের নির্বাচনে মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছে ভারতের ভবিষ্যৎ কংগ্রেস। তিনি বলেন, এবার কংগ্রেস ক্ষমতায় আসতে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী হবেন রাহুল গান্ধী। কিন্তু, কিছু লোকের এটা পছন্দ নয়। সেজন্য ব্রিগেডে মহাসভা করেছেন। তিনি বলেন, সিবিআই, ইডি দেখিয়ে ভয়ের রাজনীতি করছে বিজেপি। দেশজুড়ে ধর্মসঙ্কট চলছে।
তবে এদিনের বৈঠকে বামেদের বিরুদ্ধে একটিও কথা খরচ করেননি কংগ্রেস নেতারা। আর এতেই ওয়াকিবহাল মহল বলছেন, এটা আসলে বামেদের সঙ্গে জোটের ইঙ্গিত। এদিন সভা শেষে বিধায়ক মিলটন রশিদের নেতৃত্বে কর্মী সমর্থকেরা এসডিও অফিসে আইন অমান্য আন্দোলন করতে যান। কিন্তু, গেট বন্ধ থাকায় কিছুক্ষণ ঠেলাঠেলি করে তাঁরা ফিরে আসেন।