দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
বিজেপি জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় বলেন, ঝাড়খণ্ড থেকে কোনও উত্তর পাইনি। তাই সেখান থেকে বাস পাওয়ার আশা কম। আমাদের নিজেদের শক্তি দিয়েই মাঠ ভরাব। মানুষ স্বতঃপ্রণোদিতভাবেই সভায় আসবে। তৃণমূলের মতো টাকা বা ভালো গাড়ি দিয়ে সভায় আমাদের কর্মী আনতে হয় না।
দলের সর্বভারতীয় সভাপতিকে দিয়ে জেলায় কর্মসূচি করিয়ে সংগঠন মজবুত করার স্বপ্ন দেখছিল বিজেপি। জেলা নেতৃত্বের সেই আশা এবারও ভঙ্গ হল। ৫ ডিসেম্বর থেকে অমিত শাহর সভা নিয়ে জল্পনা চলছিল। প্রথমে ঠিক ছিল ওইদিন তারাপীঠ থেকে বিজেপির রথযাত্রা শুরু করার পাশাপাশি রামপুরহাটে সভা করবেন অমিত শাহ। কিন্তু, অন্যরাজ্যের নির্বাচনের জন্য তা হয়নি। পরে ঠিক হয় ১৪ ডিসেম্বর তারাপীঠে এসে রথের সূচনা করবেন। আদালতের রায়ে তা ভেস্তে যায়। কিছুদিন পর প্রচার করা হয় রামপুরহাটে সভা করতে আসছেন এই দাপুটে নেতা। কিন্তু, সেবারও কর্মীদের মন ভাঙে। অমিত শাহর বদলে সভা করেন দিলীপ ঘোষ। অবশেষে স্থির হয় সিউড়িতে অমিত শাহ সভা হবে ২১ জানুয়ারি। পরে তা পিছিয়ে ২৩ জানুয়ারি করা হয়। এরপর আজ, বুধবারের নির্ধারিত সভাতেও তিনি না আসায় কার্যত হতাশ বিজেপির অনেক নেতা।
এদিকে ঝাড়খণ্ডের অসহযোগিতা বিজেপি নেতৃত্বর কাছে কম আঘাত নয়। অনুব্রত মণ্ডলের জেলায় বিজেপির সভায় গাড়ি দেওয়ার ঝুঁকি কোনও বাস মালিকই নিতে চায় না। বিষয়টি উপলব্ধি করেই ঝাড়খণ্ড থেকে বাস আনার পরিকল্পনা নিয়েছিল জেলা বিজেপি। তাদের আশা ছিল ঝাড়খণ্ড থেকে আসা বাসেই কর্মীদের এনে সভা ভরানো হবে। কিন্তু, বিজেপি শাসিত ওই রাজ্য থেকে কোনও সদর্থক উত্তর আসেনি। তাই শেষ মুহূর্তে লোক আনা নিয়ে চিন্তায় বিজেপি নেতৃত্ব।
বিজেপির নির্ধারিত সভাস্থল থেকে সিউড়ি স্টেশনের দূরত্ব পাঁচ কিলোমিটার। সদর শহরের সঙ্গে রেল যোগাযোগও খুব ভালো নয়। তাই মাঠ ভরাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হবে বিজেপি নেতৃত্বকে। অন্যদিকে, আর একটি বিষয়ও ভাবাচ্ছে জেলা নেতৃত্বকে। তা হল, কোনও কেন্দ্রীয় নেতা সভায় আসছেন? কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির আসার কথা রয়েছে। কিন্তু, তিনিও শেষ মুহূর্তে তা বাতিল করলে রাজ্য নেতৃত্বকে দিয়েই সভা করাতে হবে।