দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার নিজের গোরু চরাতে
গিয়েছিলেন বিমলবাবু। ওই সময় স্থানীয় চাষি মন্টু পাত্রের জমিতে কয়েকটি গোরু ঢুকে যায় বলে অভিযোগ। এই নিয়ে মন্টুবাবুর ছেলে আকুল পাত্রের সঙ্গে বিমলবাবুর কথা কাটাকাটি শুরু হয়। বচসা চলাকালীন সেখানে কুড়ুল নিয়ে হাজির হয় গোপাল। আচমকা সে কুড়ুল দিয়ে বিমলবাবুর মাথার পিছনে ও বুকে আঘাত করে বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দারা বিমলবাবুকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। ভর্তির কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমলবাবুর মৃত্যু হয়। ওই দিনই বিমলবাবুর ভাই সঞ্জিত মাইতি সাঁকরাইল থানায় গোপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিস ধৃতের বিরুদ্ধে খুনের ধারায় মামলা রুজু করেছে। সঞ্জিতবাবু বলেন, পুরানো শত্রুতার জেরে গোপাল দাদাকে খুন করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জমিতে সেচের জল দেওয়ার জন্য বিমলবাবুর একটি মিনি ডিপটিউবওয়েল আছে। গ্রামের অন্যান্য চাষিরা সেখান থেকে সেচের জল নেন। গোপালও সেচের জল নিয়েছিল। কিন্তু সে টাকা মেটায়নি। এই নিয়ে বিমলবাবুর সঙ্গে তার পুরনো বিবাদ ছিল। সোমবার আকুলের সঙ্গে বিমলবাবুর বচসা চলার সময়ে সেখানে হাজির হয় গোপাল। পুরানো ঘটনা টেনে বিমলের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে সে। অভিযোগ, তারপরই আচমকা হাতের কুড়ুল দিয়ে বিমলবাবুকে আঘাত করে।
বিমলবাবুর বড় ছেলে দেবনাথ মাইতি জুনিয়র কনস্টেবল। ছোট ছেলে হাবু মাইতি বাবার সঙ্গে চাষবাস করেন। বিমলবাবুর স্ত্রী জ্যোৎস্না মাইতি বলেন, সেচের জল নিয়েও প্রাপ্য টাকা গোপাল দেয়নি। আমার স্বামী টাকা চাইলেই গোপাল খুনের হুমকি দিত। ও যে শেষ পর্যন্ত এরকম করবে, ভাবতে পারিনি। ঝাড়গ্রামের পুলিস সুপার অরিজিৎ সিনহা বলেন, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।