বিএনএ, বহরমপুর: হস্তশিল্প, তাঁত বস্ত্র ও বইমেলার পর বহরমপুরে শুরু হল টয়লেট মেলা। ৪০ধরনের শৌচাগারের মডেল নিয়ে সোমবার শহরের বারাক স্কোয়ার ময়দানে ওই মেলার সূচনা করা হয়েছে। এখানে পাট কাঠির বেড়ার, তেলের টিনের, জলের বোতলের তৈরি টয়লেট থেকে বায়ো টয়লেট, পাকা টয়লেট রয়েছে। তা দেখতে প্রথমদিনই মেলায় গ্রামবাসীদের ভিড় উপচে পড়ে। তিনদিন ধরে এই মেলা চলবে। জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা বলেন, বাড়ি বাড়ি বিভিন্ন ধরনের টয়লেট নির্মাণ করে জেলাকে নির্মল করা হয়েছে। সেই সব টয়লেটের মডেল সর্বস্তরের বাসিন্দাদের সামনে তুলে ধরতেই এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
কয়েকদিন আগেই জেলার বিভিন্ন ব্লকে ঘটা করে কৃষি মেলা হয়েছে। বইমেলা, তাঁত বস্ত্র মেলা, হস্তশিল্প মেলাও হয়েছে। এবার জেলায় টয়লেট মেলার শুরু হল। এদিন মেলার উদ্বোধন করেন জেলাশাসক পি উলগানাথন। অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলাশাসক(জেলা পরিষদ) সুদীপ্ত পোড়েল, জেলা পরিষদের সচিব অনুপ দত্ত, বহরমপুরের মহকুমা শাসক দীপাঞ্জন মুখোপাধ্যায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এই মেলায় বাঁশের বেড়া ও খড়, তেলের টিন, মাটির দেওয়াল, ইটের দেওয়াল, জলের বোতল, পাটকাঠি প্রভৃতি দিয়ে তৈরি ৪০ধরনের টয়লেটের মডেল প্রদর্শীত হয়েছে। সেগুলির দাম ৩০০টাকা থেকে শুরু। সর্বোচ্চ ১৬হাজার টাকা দামের টয়লেটের মডেল মেলায় সাজানো হয়েছে। এরবাইরে মেলায় একটি মিউজিয়াম তৈরি করা হয়েছে। নির্মল জেলা গড়ার ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসনের সাফল্যের বিভিন্ন দিক মিউজিয়ামে তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া, বাড়ি বাড়ি টয়লেট গড়ার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালনকারী গ্রামবাসীদের পুরস্কার দেওয়া হয়েছে এদিন।
জেলাশাসক বলেন, এই জেলার মানুষ অত্যন্ত গরিব। শিক্ষার হারও কম। তাই এই জেলাকে নির্মল করে তোলা সম্ভব নয় বলে অনেকে প্রচার করেছিলেন। কিন্তু, লাগাতার গ্রামবাসীদের বুঝিয়ে বাড়ি বাড়ি টয়লেট তৈরি করা হয়েছে। এমনকী সরকারি সাহায্য ছাড়াই অনেকে নিজের টাকায় টয়লেট নির্মাণ করেছেন। সকলের সহযোগিতায় এই কাজ করা সম্ভব হয়েছে। তাই বাড়ি বাড়ি তৈরি হওয়া টয়লেটের বিভিন্ন ধরনের মডেল নিয়ে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে।