গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
অমিত শাহর সভাস্থল নিয়ে যথেষ্ঠ বিতর্ক শুরু হয়েছিল। প্রশাসনের কাছে আবেদন করেও কৃষ্ণনগর শহরে মাঠ পায়নি গেরুয়া শিবির। তাই বাধ্য হয়ে কৃষ্ণনগর থেকে ৩ কিমি দূরে সন্ধ্যা মাঠপাড়ায় সভা করার প্রস্তুতি নিয়েছিল। সেখানে মঞ্চ বাঁধার কাজও চলছিল জোরকদমে। তারমধ্যেই সোমবার রাতে খবর আসে অমিত শাহ আসছেন না। তাতে বিজেপি কর্মীদের উদ্যমে ভাটা পড়লেও সভা হবে বলেই জানিয়েছেন দলের উত্তর নদীয়া জেলা সভাপতি মহাদেব সরকার। তিনি বলেন, অসুস্থতার জন্য অমিতজি আসবেন না। কিন্তু আমাদের সভা হবেই। সেখানে আসবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানী ও অন্যান্য নেতৃত্ব। আমাদের সভা সফল হবেই্।
এদিকে এই সভা নিয়ে শাসক ও বিজেপির তরজা তুঙ্গে। বিজেপি জানিয়েছে, প্রথমে কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজ মাঠে সভা করার জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু, কলেজ কর্তৃপক্ষ আবেদন গ্রহণ করেনি। শক্তিনগর হাইস্কুলের মাঠ, কারবালা মাঠেও অনুমোদন মেলেনি। বাধ্য হয়ে পোড়াগাছা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সন্ধ্যামাঠপাড়ার একটি ক্লাবের মাঠে জনসভা করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। ওই মাঠ শহর থেকে প্রায় তিন কিমি দূরে। ওখানে ক্লাব কর্তৃপক্ষ সভা করার অনুমতি দিয়েছে। পোড়াগাছা গ্রাম পঞ্চায়েতটি এবার বিজেপি দখল করেছে। তাই সন্ধ্যামাঠপাড়াকেই বিজেপি সভাস্থলের জন্য বেছে নিল।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, সভায় অমিত শাহ না এলেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি, কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়, রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা, মুকুল রায় প্রমুখ আসবেন। কৃষ্ণনগর শহরের মাঠ না মেলার জন্য বিজেপি শাসক দল তৃণমূলকে দূষছে। বিজেপির নদীয়া(উত্তর) জেলা সভাপতি মহাদেব সরকার বলেন, গভর্নমেন্ট কলেজ মাঠ, শক্তিনগর হাইস্কুলের মাঠ বা কারবালা মাঠ কোনও জায়গায় সভার অনুমোদন দেয়নি প্রশাসন। বিজেপিকে ভয় পাচ্ছে বলেই তৃণমূল শহরের মধ্যে মাঠ দিল না। তবে সন্ধ্যামাঠপাড়ায় একটি মাঠ পাওয়া গিয়েছে। সেখানেই সভা হবে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলকে জেলাবাসী জবাব দিয়েছে। প্রশাসনের সহযোগিতায় আমাদের জেতা বহু আসন তারা ছিনিয়ে নিয়েছে। মানুষ দেখেছে এসব। লোকসভা ভোটে পঞ্চায়েতের জবাব দেবে জেলার সাধারণ মানুষ। কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে হারবে জেনে তৃণমূল মাঠ দিচ্ছে না। তবে এরও জবাব পাবে তৃণমূল।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত বলেন, কোনও মাঠের মালিক আমাদের দল নয়। আমরা কাউকে বলিনি বিজেপিকে মাঠ দেবেন না। ওরা মাঠ না পেলে আমরা কী করব? তাছাড়া ওরা তো সন্ধ্যামাঠপাড়ায় মাঠ পেয়েছে।