কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
প্রসঙ্গত, গত ১০জানুয়ারি বরাবাজারের ভাগাবাঁধ গ্রামের সোনাডুংরি গ্রামের বাসিন্দা তৃণমূল কর্মী সন্তোষ মাহাত অপহৃত হন বলে অভিযোগ। তাঁর গাড়িতে পোস্টার সাঁটিয়ে ৩০লক্ষ টাকা মুক্তিপণও দাবি করা হয়। ওই তৃণমূল কর্মীকে খুঁজতে পুলিস পাঁচ সদস্যের সিটও গঠন করে। টানা ১০দিন কোনও খোঁজ না পাওয়া গেলেও রবিবার রাতে বরাবাজারের টকরিয়া এলাকা থেকেই পুলিস তাঁকে উদ্ধার করে।
এবিষয়ে ওই তৃণমূল কর্মীর ভাই দেবেন মাহাত বলেন, রবিবার সন্ধ্যায় কয়েকজন দাদাকে টকরিয়া এলাকায় দেখতে পেয়ে আমাদের ফোন করে। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি পুলিসকে জানানো হয়। পরে পরিবারের সদস্যরা টকরিয়ায় যায়। তবে দাদার সঙ্গে কোনও কথা বলার সুযোগ হয়নি। বরাবাজার থানার পুলিস সন্তোষদাকে থানায় নিয়ে যায়। সন্তোষদা টকরিয়া মোড়ে কীভাবে এল জানি না। দাদা বাড়ি ফিরলে এবিষয়ে জানতে পারব।
বরাবাজার থানার পুলিসের দাবি, মোবাইল টাওয়ারের লোকেশন ট্র্যাক করে ঝাড়খণ্ডের একাধিক জায়গায় ওই ব্যক্তির খোঁজে পুলিস হানা দেয়। যদিও কোথাও তাঁকে পাওয়া যায়নি। রবিবার সন্ধ্যায় সন্তোষবাবু পুরুলিয়া হয়ে বাসে টকরিয়ায় আসেন। পুলিস খবর পেয়ে তাঁকে টকরিয়া থেকে উদ্ধার করে। তবে সন্তোষবাবু একাই বাসে চেপে টকরিয়া আসেন নাকি অন্য কেউ তাঁকে ছেড়ে দিয়ে যায় সেই বিষয়ে এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি। একই সঙ্গে সন্তোষবাবুকে কারা কী উদ্দেশ্যে অপরহণ করেছিল এবং কীভাবে টকরিয়া মোড়ে পৌঁছলেন সেই বিষয়ে স্পষ্ট করে বলতে চায়নি পুলিস। সন্তোষবাবুর সঙ্গেও এবিষয়ে এদিন যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এবিষয়ে পুরুলিয়ার পুলিস সুপার আকাশ মাঘারিয়া বলেন, ওই ব্যক্তি রবিবার নিজেই টকরিয়া এলাকায় আসেন। সেখান থেকে পুলিস তাঁকে থানায় নিয়ে আসে। এদিন তাঁকে পুরুলিয়া জেলা আদালতে হাজির করা হয়। ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে। এখনই এবিষয়ে কিছু বলা সম্ভব নয়। এদিকে, সন্তোষবাবুর অপহরণের বিষয়ে ধোঁয়াশা থাকলেও দীর্ঘদিন পর ছেলের খোঁজ মেলায় স্বস্তিতে সোনাডুংরি গ্রামের মাহাত পরিবার।