কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সরকারি এই উদ্যোগে খুশি বক্রেশ্বর সেবাইত কমিটির সদস্য রাজীব চৌধুরী। তিনি বলেন, আবেদন রেখেছিলাম। প্রশাসন মেনে নেওয়ায় আমরা খুশি। কারণ, এই মেলা পাথরচাপুড়ি মেলার বহু আগে থেকে হয়ে আসছে। এলাকার প্রবীণ নাগরিক সন্ধ্যা দে, বিজয় গোস্বামী বলেন, খুবই ভালো উদ্যোগ।
অতিরিক্ত জেলাশাসক(জেলাপরিষদ) তথা বক্রেশ্বর উন্নয়ন সংস্থার সিইও দীপ্তেন্দু বেরা বলেন, শিবরাত্রি উপলক্ষে আয়োজিত এখানকার বহু প্রাচীন মেলাটি আমরা সরকারি উদ্যোগে করব। প্রয়োজনীয় সব রকম ব্যবস্থা করা হবে। প্রথম বছর থেকে মেলায় প্লাস্টিক ব্যবহারের উপর রাশ টানা হবে। তাছাড়া কেউ যাতে খোলা এলাকায় শৌচ না করে সেদিকটিও দেখা হবে।
তারাপীঠ, নলহাটি, কঙ্কালীতলা, পাথরচাপুড়ি, নানুর, জয়দেবের পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির কাছে বক্রেশ্বর ধামও বেশ জনপ্রিয়। প্রাচীন কাল থেকেই এখানে শিবরাত্রিতে মহাদেবের মাথায় জল ঢালার চল রয়েছে। বীরভূমের পাশাপাশি বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, দুই বর্ধমানের হাজার হাজার মানুষ এখানে আসতেন। আগে শিবরাত্রি উপলক্ষে কয়েকদিন ধরে লক্ষ ভক্তের সমাগমে জমজমাট হয়ে উঠত এলাকা। বসত বিশাল মেলা। প্রায় ১০ দিন ধরে চলত উৎসব। সময়ে যত গিয়েছে জেলার বিভিন্ন মেলা আকার আয়তনে বেড়েছে। কিন্তু বিপরীত চিত্র দেখা গিয়েছে বক্রেশ্বরে।
মেলা উপলক্ষে ছিল না কোনও সরকারি উদ্যোগ। এমনকী, এলাকায় ব্যাপক জলকষ্ট ছিল। শৌচালয় পর্যাপ্ত ছিল না। অন্যদিকে, ব্যক্তিগত জমিতে মেলা বসায় ইচ্ছে মতো ভাড়া নিত মালিকরা। যারজেরে মেলায় ব্যবসায়ীর সংখ্যা কমে যায়। মেলার আকার ক্রমশ ছোট হয়ে আসে। জয়দেব, পাথরচাপুড়ি মেলা নিয়ে জেলা প্রশাসনের মাতামাতি থাকলেও বক্রেশ্বরকে অবহেলা করায় এলাকায় যথেষ্ট ক্ষোভ ছিল। কিন্তু, এবার সেই ক্ষোভ মিটতে চলেছে। এবছর থেকেই সরকারি উদ্যোগে মেলা হবে। ৪ মার্চ শিবরাত্রির দিন মেলা শুরু হবে। থাকবে নানা সরকারি পরিষেবা। পানীয় জল, শৌচালয়ের পর্যাপ্ত ব্যবস্থার পাশাপাশি মেলাকে কেন্দ্র করে জেলার লোকসংস্কৃতিকে তুলে ধরারও আয়োজন চলছে। এর পাশাপাশি নানা কুটির শিল্পজাত সামগ্রীর সরকারি স্টল করা হবে। সেখানে স্থান পাবে কাঁথা স্টিচ, সেরপাইয়ের মতো শিল্পকলা। অন্যদিকে, পানীয় জলের সমস্যা স্থায়ীভাবে দূর করারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বক্রেশ্বর এলাকায় পাইপ লাইনের মাধ্যমে জল সরবরাহ করা হবে।