পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে সোহেল গ্রামের নাপিত পুকুরের পাড়ে গোরু চরাতে যায়। এরপর সেখানে গোরুটি বেঁধে রাখার জন্য গোঁজ পুঁততে শুরু করলে বিকট শব্দ করে বোমা বিস্ফোরণ হয়। তাতে ওই ছাত্র মারাত্মকভাবে জখম হয়। বোমার আঘাতে শরীরের বিভিন্ন জায়গা পুড়ে যায়। তাকে প্রথমে বড়ঞা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
অন্যদিকে, ওই রাতে রামেশ্বরপুরে একটি ডোবার পাশে বেশ কয়েকজন কিশোর খেলছিল। তাদের মধ্যে কয়েকজন ডোবার জলে একটি ড্রাম ভাসতে দেখে। মাছ ধরার ফাঁদ ভেবে সেই ড্রাম ডোবা থেকে পাড়ে তোলে কয়েকজন। সেটির মুখ খুলে বোমা দেখে তারা চমকে ওঠে। এই খবর চাউর হতেই আশপাশের বাসিন্দারা সেখানে জড়ো হন। খবর পেয়ে পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ড্রাম থেকে ১০টি তাজা সকেট বোমা উদ্ধার করে। সোমবার সিআইডির বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড সেগুলি নিষ্ক্রিয় করেছে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ বলেন, ডোবার কেউ মাছ ধরার ফাঁদ পেতেছে ভেবে ওই কিশোরদের একাংশ কৌতুহলবশত ডোবায় নেমে ড্রামটি তোলার পর শক্তিশালী সকেট বোমার হদিশ মেলে। অসতর্কিতভাবে সেই ড্রাম নিয়ে ওই কিশোররা খেলা করলেই বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটতে পারত। কাজেই, বড়ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে ওই কিশোররা রক্ষা পেয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, বোমা ভর্তি ওই ড্রাম কে বা কারা ডোবায় ফেলে গিয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বিভিন্ন সময় জেলার আম বাগান, লিচু বাগান, ধান ও সর্ষে খেত, রাস্তার ধারে ঝোপ কিংবা পরিত্যক্ত বা নির্মীয়মাণ বাড়ি থেকে বোমা উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। ডোবা থেকে বোমা উদ্ধার ঘটনা এই প্রথম ঘটল। পুলিস ও গোয়েন্দাদের একাংশ বলেন, ওই ডোবার জল অত্যন্ত নোংরা। স্থানীয় গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, সেই ডোবার জল কেউ ব্যবহার করেন না। সেখানে কারও যাতায়াতও নেই। তাই গ্রামবাসীদের ও পুলিসের নজর এড়াতেই সেই ডোবায় দুষ্কৃতীরা বোমা মজুত করছিল বলে মনে হচ্ছে। অবশ্য পুলিসের আরএক অংশের বক্তব্য, বেলডাঙা এলাকায় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান চলছে। সম্ভবত সেই কারণেই তৈরি বোমা বাড়িতে মজুত রাখার সাহস না পেয়ে দুষ্কৃতীরা বোমা ভর্তি ড্রাম ডোবায় রেখেছিল।
এদিকে, লোকসভা ভোটের আগে জেলাকে বোমা মুক্ত করে তুলতে পুলিস বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে।