পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বাসের যাত্রী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ফরাক্কা থেকে দুর্গাপুরগামী দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাসটি রামপুরহাট হয়ে সিউড়ির দিকে যাচ্ছিল। মহম্মদবাজার থানার কুলিয়া ব্রিজের কাছে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি পাথর বোঝাই লরির পিছনে ধাক্কা মারে। ভিড়ে ঠাসা বাসটিতে এই ঘটনায় ৩০ জন যাত্রী জখম হন। স্থানীয় লোকজন ও পুলিস উদ্ধার কাজে নামে। ২৫ জন যাত্রীকে মহম্মদবাজার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। বাকি পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঘটনাস্থল থেকেই তাদের সিউড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। মহম্মদবাজার ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে চিকিৎসা করিয়ে ২৩ জনকে ছেড়ে দেওয়া হলেও মোবারক হোসেন ও সুবোল সাহার মাথায় চোট থাকায় তাঁদের সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। ব্লকের ভারপ্রাপ্ত বিএমওএইচ ময়ূক সাহা বলেন, দু’জনের মাথায় চোট থাকায় সিউড়ি রেফার করা হয়েছে। বাকি ২৩ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।
বাসের যাত্রী শ্যামল সাহা বলেন, বাসের চালক ধুমপান করছিলেন। সেই কারণেই দ্রুত গতিতে থাকা বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে লরিটিকে ধাক্কা মারে। বাসের অন্যান্য যাত্রীরাও বাসের চালককে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করেছেন। যদিও পরিবহণ সংস্থার দাবি, লরিটি আচমকা ব্রেক কষার জন্যই এই বিপত্তি হয়েছে।
এদিকে ওই চালকের গাফিলতির অভিযোগ উঠতেই ফের প্রশ্ন উঠেছে সরকারি সংস্থার বাসগুলির উপর নজরদারি নিয়ে। মুর্শিদাবাদের দৌলতাবাদে দুর্ঘটনার পর একগুচ্ছ পদক্ষেপ নেওয়া কথা বলেছিল বিভিন্ন আঞ্চলিক পরিবহণ সংস্থাগুলি। এসবিএসটিসিও জানিয়েছিল, চালক ধুমপান বা মোবাইল ব্যবহার করছেন কিনা তা নজরদারি করার জন্য প্রতিটি বাসে সিসিক্যামেরা বসানো হবে। গতি নিয়ন্ত্রক যন্ত্রও ব্যবহৃত হবে। অভিযোগ, এখনও বহু বাসে সিসিক্যামেরা বসানো হয়নি। নজরদারিও তথৈবচ। যারজেরে বেশ কিছু চালক নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই ধুমপান করছেন, মোবাইলেরও ব্যবহার হচ্ছে ।