বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, তারাপীঠ থানা এলাকায় তিনটি হাইস্কুল রয়েছে। তিনটিই কোএড। কোনও ছাত্রী বালিকা বিদ্যালয়ে পড়তে চাইলে তাঁকে ১৫ কিমি দূরে রামপুরহাট গার্লস স্কুলে ভর্তি হতে হতো। অনেক সময় এই স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা দিত। কারণ, এখানেও রামপুরহাট শহর ছাড়া লাগোয়া গ্রামের ছাত্রীরা ভর্তি হয়। ফলে স্কুলটিতে যথেষ্ট সংখ্যক ছাত্রীর চাপ আগে থেকেই রয়েছে। আবার তারাপীঠ থেকে জাতীয় সড়ক পেরিয়ে এত দূরে মেয়েদের স্কুল পাঠাতে অভিভাবকরা ভয় পান। ফলে উপায় না থাকায় এতদিন কোএড স্কুলেই ছাত্রীদের ভর্তি হতে হতো। সমস্যা উপলব্ধি করতে পেরে গত বছর বোলপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এলাকায় গার্লস স্কুল তৈরির দাবি করেন তৃণমূলের রামপুরহাট-২ ব্লক সভাপতি সুকুমার মুখোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীও তাতে সম্মতি দিয়েছেন। সেই মতো ২ জানুয়ারি থেকে তারাপুর জেবি প্রাইমারি স্কুলের একটি রুমে গার্লস জুনিয়র হাইস্কুল শুরু হয়েছে। ওইদিন থেকেই শুরু হয়েছে ভর্তি প্রক্রিয়া।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে সেখানে ছাত্রীর সংখ্যা ২০। সকলেই পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে দু’জন অতিথি শিক্ষক এই স্কুলে নিয়োগ করা হয়েছে। আরও দু’জন শিক্ষক দেওয়া হবে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পড়ুয়ার সংখ্যা বাড়ছে। তাই এলাকায় একটি বালিকা বিদ্যালয় তৈরি করা খুবই জুরুরি ছিল। অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক চিন্ময় সাহানা বলেন, জুনিয়র গার্লস স্কুলের অনুমোদন পাওয়ার পরই আমরা চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে পঠনপাঠন শুরু করে দিয়েছি। আপাতত প্রাইমারি স্কুলেই পঠনপাঠন চলছে। বই দিবসে পড়ুয়াদের হাতে পাঠ্যপুস্তক তুলে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এখন পড়ুয়ার সংখ্যা কম হলেও স্কুলটির ভবিষ্যৎ ভালো। কারণ, এলাকায় কোনও বালিকা বিদ্যালয় নেই। চিন্ময়বাবু বলেন, নতুন স্কুল গড়ার জন্য জায়গার অসুবিধা হবে না। প্রাইমারি স্কুল চত্বরেই ১.৯৯ একর ফাঁকা জায়গা রয়েছে। সেখানেই সর্বশিক্ষা মিশন প্রকল্পে স্কুল বিল্ডিং গড়ে তোলার জন্য দপ্তরে আবেদন জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে, সুকুমারবাবু বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এলাকার পড়ুয়াদের সমস্যার কথা তুলে ধরেছিলাম। জনদরদি মুখ্যমন্ত্রী সেই সমস্যার সমাধান করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, এই স্কুলটি চালু হওয়ায় এলাকার ছাত্রীরা উপকৃত হবে। তাদের আর দূরবর্তী বালিকা বিদ্যালয়ে পড়তে যেতে হবে না। তেমনি কোএড স্কুলগুলিতে পড়ুয়ার চাপও কমবে।