গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
শনিবার জেলা থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষকে ব্রিগেডে হাজির করেছিল তৃণমূল। সেই সভার জের কাটতে না কাটতেই এদিন জেলার রানিনগর-২ ব্লক তৃণমূলে ভাঙন ধরেছে। এদিন সেই ব্লকের তৃণমূল ছুট নেতা-কর্মীরা ৪৭টি গাড়ির কনভয় নিয়ে বহরমপুরে জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে আসেন। দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হাতে দলের ঝান্ডা তুলে দেন অধীর চৌধুরী। অনুষ্ঠানে রানিনগরের বিধায়ক ফিরোজা বেগম, প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্তা দাস, কংগ্রেসের রানিনগর-২ ব্লক সভাপতি রিয়াজুদ্দিন সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অধীরবাবু বলেন, জেলায় রিভার্স সুইং শুরু হয়েছে। লোকসভা ভোটের আগে জেলার মাটিতে তৃণমূলকে তছনছ করে দেব।
এদিন যাঁরা কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য আসরাফুজ্জামান। তিনি রানিনগর-২পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি। গত পঞ্চায়েত ভোটের আগে তিনি কংগ্রেস ত্যাগ করে তৃণমূলে যান। এদিন তিনি ফের কংগ্রেসে শামিল হলেন। তিনি বলেন, আমার নেতৃত্বে মালিবাড়ি-১পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান সহ রানিনগর-১ ও রাজাপুর পঞ্চায়েতের প্রাক্তন কয়েকজন পঞ্চায়েত সদস্য, তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি সহ ৪০০জন কংগ্রেসে যোগ দিলেন। আমাদের সঙ্গে এলাকায় আরও চারহাজার কর্মী-সমর্থক রয়েছেন। গোষ্ঠী কোন্দলে জেরবার তৃণমূলে নিয়মশৃঙ্খলা নেই। তাই পুরনো দলে ফিরে এলাম।
অন্যদিকে, দেড় মাস আগে দলের জেলা কার্যালয়ে আক্রান্ত হন তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি অশোক দাস। ওই সময় তৃণমূলে গা ঢাকা দিয়ে থাকা কংগ্রেসের চরদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল তৃণমূল। ইতিমধ্যে সেই কাজ শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি অশোক দাস বলেন, পঞ্চায়েত ভোটের আগে টিকিট পাওয়ার আশায় অধীরের চর আসরাফুজ্জামান তৃণমূলে এসেছিলেন। টিকিট না মেলায় তিনি তৃণমূলের হয়ে কাজ করছিলেন না। বরং অধীরের দালালি করছিলেন। এখন চর চিহ্নিতকরণ কর্মসূচি শুরু হতেই তিনি পালিয়েছেন। ওরকম এক-দু’টো পচা আলু দলত্যাগ করায় দলের মঙ্গল হল। লোকসভা ভোটে আমরা ঝোড়ো ব্যাটিং করে জেলার মাটিতে কংগ্রেসকে দুরমুশ করে দেব।