কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
প্রসঙ্গত, কুকুরের উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের রোগী, তাঁদের পরিজন থেকে চিকিৎসক, নার্সরা ও কর্মীরা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দল বেঁধে কুকুর ঘুরে বেড়াচ্ছে হাসপাতাল চত্বরে। সঙ্গে সার দিয়ে সন্তান সন্ততির দল। সন্ধ্যা থেকে রাতভর তাদের একটা বড় অংশ বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে হাসপাতালের মধ্যে রাত কাটায়। ঘুমের অসুবিধা হলে সামনে যাকে পায় তার দিকে দাঁত খিঁচিয়ে তেড়ে আসে। দিনদিন এই হাসপাতালে সারমেয়র সংখ্যা বাড়েই চলেছে। ফলে প্রায় সবারই আতঙ্কে দিন কাটছে। সম্প্রতি রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের এক প্রতিনিধি দল হাসপাতাল পরিদর্শনে এসেছিল। তাদের সামনেই এক দল কুকুর হাসপাতলের মধ্যে ঢুকে পড়ে। কর্মীরা তাদের বের করতে হিমশিম খায়।
এক কর্মী বলেন, ওরা প্রতিদিন এখানে থাকে। এখন তাড়ালে যাবে কেন? কোনওভাবেই ওদের তাড়ানো যায়নি। এক দরজা দিয়ে বের করে দিলে আর এক দরজা দিয়ে ঢুকে পড়ে। রোগী ও পরিজনরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই অবস্থা চলতে থাকলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থাই নিচ্ছে না।
হাসপাতাল চত্বরে কুকুরের যে উৎপাত আছে, তা মেনে নিয়েছেন হাসপাতাল সুপার কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, এটা ঠিক হাসপাতালে কুকুরের সংখ্যা খুব বেড়ে গিয়েছে। তারা যেমন বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তেমনই ওয়ার্ডের মধ্যে ঢুকে যাচ্ছে। কেবলমাত্র নিরাপত্তারক্ষী দিয়ে এদের আটকানো সম্ভব নয়। তিনি বলেন, দু’মাস আগে এব্যাপারে বনদপ্তর, প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তর ও পুরসভাকে চিঠি দিয়েছিলাম। এদিন থেকে পুরসভা অবশ্য উদ্যোগ নিয়েছে। দেখা যাক কী হয়।
হাসপাতালের কর্মচারী সংগঠনের নেতা দিলীপ সরখেল বলেন, প্রচুর কুকুর হাসপাতাল চত্বরে ঘুরে বেড়ায়। এক একটি দলে ১০ থেকে ১৫টি কুকুর থাকে। সঙ্গে বাচ্চা তো আছেই। তারা ওয়ার্ডেও ঢুকে যায়। নার্স ও কর্মীরা দেখতে পেলে তাড়িয়ে দেন ঠিকই। কিন্তু এভাবে তো চলতে পারে না। বিষয়টা দেখা উচিত।
এক রোগীর আত্মীয় আশিস সেন বলেন, ওয়ার্ডের মধ্যে যখন তখন কুকুর ঢুকে যায়। রোগীর বেডের নীচে ঘুমিয়ে থাকতেও দেখা যায়। আর এক রোগীর আত্মীয় শেখ আলতাব হোসেন বলেন, শুধু কি ওয়ার্ডে, আউটডোরে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছি, সেখানেও কুকুর। সেখানে ওষুধ আনতে যাব, সেখানেও। হাসপাতাল এখন আমাদের কাছে আতঙ্কের। রোগী দেখাতে এসে আবার একটা রোগকে সঙ্গী করে বাড়ি ফিরতে হবে।
সুপার বলেন, একবার যদি কোনও কুকুর কাউকে কামড়ে দেয়, তাহলেই মুশকিল। তখন সব দোষ গিয়ে পড়বে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উপর। কুকুর আমাদের খুবই চিন্তায় ফেলেছে।