বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, গত ১০জানুয়ারি অপহৃত হন বরাবাজারের সোনাডুংরি গ্রামের বাসিন্দা পেশায় ব্যবসায়ী তৃণমূল কর্মী সন্তোষ মাহাত। তাঁর গাড়িতে সাঁটানো পোস্টার থেকে অপহরণের বিষয়টি জানা যায়। পোস্টারে ৩০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণও দাবি করা হয়। অপহরণের ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয় তৃণমূল। অপহরণের ঘটনার পরে টকরিয়ায় সভা করে তৃণমূল কংগ্রেসের ছোট এবং বড় নেতারা হুমকির সুরে বিজেপি ও পুলিসের বিরুদ্ধে বলেছিলেন, ২৪ঘণ্টার মধ্যে সন্তোষবাবু উদ্ধার না হলে তাঁরা পথে নেমে ব্যবস্থা নেবেন। যদিও ঘটনার পর প্রায় ১০দিন পেরিয়ে গেলেও এবিষয়ে বরাবাজারের তৃণমূল নেতাদের তেমন তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ।
অপহৃত তৃণমূল কর্মীর ভাই দেবেন মাহাত বলেন, পোস্টারে মুক্তিপণ দাবি করে তা দেওয়ার জন্য ৭দিন সময় সীমা দিয়ে ছিল দুষ্কৃতীরা। সেই সময় পেরিয়ে গিয়েছে। ঘটনার পর থেকে পরিবারের লোকজনের কীভাবে দিন কাটছে তা বলে বোঝাতে পারব না। গোটা পরিবার চরম উৎকণ্ঠায় রয়েছে। আমরা দাদার ঘর ফেরার অপেক্ষায় দিন প্রহর গুনছি। এবিষয়ে পুলিসকে জিজ্ঞাসা করা হলে আমাদের জানানো হচ্ছে, তদন্ত চলছে। কিন্তু, দাদাকে খোঁজার ব্যাপারে পুলিস কি আদৌ এগতে পেরেছে, নাকি এখনও সম্পূর্ণ অন্ধকারে রয়েছে তা জানি না।
তিনি বলেন, গত সোমবার গ্রামেরই এক ব্যক্তির কাছে সন্তোষদার মোবাইল থেকে ফোন এসেছিল। সেই ফোনে বড় দাদা কথা বলেছিলেন। কোনও অন্ধকার ঘরে তাঁকে আটকে রাখা হয়েছে বলে জানান সন্তোষদা। তবে কোথায় তা বলতে পারেননি। সেখান থেকে উদ্ধারের কাতর আর্তিও জানান। তারপরই ফোন কেটে যায়। গত বৃহস্পতিবার সকালে সন্তোষদার হোয়াটস অ্যাপ নম্বর শেষবার অন হতে দেখা যায়। সব পুলিসকে জানানো হয়েছে।
বরাবাজার থানার পুলিস জানিয়েছে, ঘটনার তদন্তে পুলিস আগেই পাঁচ সদস্যের সিট গঠন করেছে। সেই দলের সদস্যরা সন্তোষবাবুর খোঁজে বর্তমানে বেশ কয়েকদিন ধরেই ভিন রাজ্যে রয়েছেন। যদিও অপহৃত সন্তোষবাবুর বিষয়ে এখনও কোনও খোঁজ পাননি তদন্তকারী আধিকারিকরা।
এবিষয়ে বরাবাজারের তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি সুদর্শন মাহাত বলেন, ব্রিগেড সমাবেশের জন্য গত কয়েকদিন ব্যস্ত ছিলাম। তবে নিয়মিত খোঁজ নিয়েছি। সন্তোষবাবুর এখনও খোঁজ না পাওয়ার বিষয়টি উদ্বেগের। দলের পরবর্তী পদক্ষেপ আলোচনা করে ঠিক করা হবে।