বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছুদিন ধরেই বড়ঞার ওই এলাকায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ চলছিল। এমনকী ১২জানুয়ারি বড়ঞায় তৃণমূলের ব্রিগেড প্রস্তুতি সভার আগের দিন অন্য একটি গোষ্ঠী সেখানে মিছিল করে। মিছিলে দলের কোনও গোষ্ঠীর লোকজনও ছিল না। এমনকী ব্রিগেড সভায় দুই গোষ্ঠীর লোকজন আলাদাভাবে গিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। শনিবার রাতে তাঁদের অনেকেই গ্রামে ফেরেন।
এরপর এদিন সকালে বগরপুর গ্রামে একটি মোড়ে দু’পক্ষের কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, এদিন সকালে প্রথমে চায়ের দোকানে বসে থাকা অবস্থায় কথা কাটাকাটি শুরু হয়। পরে দু’পক্ষ লাঠি নিয়ে একে অপরকে আক্রমণ করে। প্রায় ২০মিনিট ধরে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে সাতজন জখম হন। পরে বড়ঞা থানার পুলিস পৌঁছলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। জখমদের কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালে ভর্তি জখম তৃণমূল কর্মী গাফারুল শেখ বলেন, আমরা ব্লক সভাপতির লোক। এদিন আমরা চায়ের দোকানে বসে থাকার সময় বাহার শেখের লোকজন এসে আমাদের বলেন, ব্লক সভাপতির দল ছেড়ে আমাদের সঙ্গে থাকতে হবে। কিন্তু আমরা তা মানতে না চাওয়ায় আমাদের উপর চড়াও হয়। হাসপাতালে ভর্তি অপর তৃণমূল কর্মী পল্টু শেখ বলেন, আমি কোনও দল করি না। এদিন সকালে আলুর জমি দেখতে যাচ্ছিলাম। সেই সময় ব্লক সভাপতির লোকজন আমার উপর চড়াও হয়ে মারধর শুরু করে।
জখমরা জানান, বেশ কয়েকমাস ধরে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে বিবাদ ছিল। তার জেরেই এদিনের সংঘর্ষ। যদিও এব্যাপারে বড়ঞা ব্লক সভাপতি গোলাম মুর্শিদ বলেন, পুরনো বিবাদের জেরে এদিনের সংঘর্ষ ঘটেছে। এতে দলের কোনও যোগ নেই। অন্যদিকে তৃণমূল নেতা বাহার শেখ বলেন, এদিনের সংঘর্ষে আমার লোকজন ছিল না। কান্দি মহকুমা তৃণমূল সভাপতি গৌতম রায় বলেন, এদিনের সংঘর্ষ পুরনো ঝামেলার জেরেই হয়েছে। এখানে দলের কোনও ব্যাপার নেই। বড়ঞা থানার পুলিস জানিয়েছে, এদিন বগরপুরে সামান্য গণ্ডগোল হয়েছে। তবে এখনও কোনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।