পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
আরামবাগের ওসি ইলেকশন সঞ্জু গুহ মজুমদার বলেন, জেলা প্রশাসন সম্প্রতি ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে। জেলার গড় অনুপাত রয়েছে ১০০০জন পুরুষ পিছু মহিলার সংখ্যা ৯৬১জন। সেক্ষেত্রে মহকুমায় তা হয়েছে ৯৪২। তবে মহকুমার সব বিধানসভা কেন্দ্রেই এবার মহিলা ভোটারের সংখ্যা বেড়েছে। নির্বাচন কমিশনের বুথ স্তরের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করার জন্যই তা সম্ভব হয়েছে। আগামী বছর এই প্রক্রিয়ায় আরও জোর দেওয়া হবে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর মহকুমায় মোট পুরুষ ভোটার ছিল ৫লক্ষ ৬ হাজার ৮২৪জন। মহিলা ভোটারের সংখ্যা ছিল ৪লক্ষ ৭৪হাজার ৫০১জন। ওই বছর পুরুষ, মহিলা ভোটারের অনুপাত ছিল ৯৩৬। কিন্তু, চলতি বছরে মহকুমায় পুরুষ ভোটারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লক্ষ ১৫ হাজার ৯১১জন। এবার মহিলা ভোটারের সংখ্যা হয়েছে ৪লক্ষ ৮৬হাজার ৬৮জন। এবার এক হাজার জন পুরুষ পিছু মহিলা ভোটারের অনুপাত বেড়ে হয়েছে ৯৪২জন।
প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, পুরশুড়ায় চলতি বছরে ১লক্ষ ২৯হাজার ৩৭৪জন পুরুষ ভোটারের নাম রয়েছে। সেখানে মহিলা ভোটারের সংখ্যা ১ লক্ষ ২২ হাজার ৪৯জন। আরামবাগ বিধানসভা কেন্দ্রে চলতি বছরে মোট পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ২৫ হাজার ৮৪০জন। এখানে মহিলা ভোটারের সংখ্যা ১ লক্ষ ২০ হাজার ৪৬২জন। গোঘাট বিধানসভা কেন্দ্রেও পুরুষ ভোটারের নাম রয়েছে ১ লক্ষ ২২ হাজার ২৭০জনের। সেখানে ১ লক্ষ ১৬ হাজার ২০৯ জন মহিলা ভোটারের নাম তালিকায় রয়েছে। অন্যদিকে, খানাকুল বিধানসভা কেন্দ্রে পুরুষ ভোটারের নাম রয়েছে ১ লক্ষ ৩৮ হাজার ৪২৭জন। সেখানে মহিলা ভোটারের নাম রয়েছে ১ লক্ষ ২৭ হাজার ৩৪৮জন। মহকুমায় এবার ছ’জন তৃতীয় লিঙ্গ ভোটারের নাম নথিভুক্ত হয়েছে।
গত বছর খানাকুলে মহিলা ভোটারের অনুপাত ছিল ৯১৩জন। এবার তা বেড়ে ৯২০জন হলেও মহকুমায় এখনও খানাকুল বিধানসভা কেন্দ্রই সবার পিছনে রয়েছে। পুরশুড়ায় এক হাজার জন পুরুষ ভোটারের অনুপাত মহিলা ভোটার রয়েছেন ৯৪৩জন। আরামবাগে তার সংখ্যা ৯৫৭জন। অন্যদিকে, গোঘাটে সেই সংখ্যা ৯৫০জন।
উল্লেখ্য, খানাকুলের মহিলা ভোটারের হার কম থাকায় গত বছর পুজোর সময় কেনাকাটায় অতিরিক্ত ১০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করে প্রশাসন। সেইমতো কিছু হার বেড়েছিল। এবার সেই অফার না থাকলেও গড়ে সাতজনের অনুপাত বেড়েছে। তবে মহকুমার বাকি বিধানসভা কেন্দ্রগুলির সঙ্গে টেক্কা দিতে তাদের আরও গতি বাড়াতে হবে বলে প্রশাসনের আধিকারিকরা মনে করছেন।
আধিকারিকদের দাবি, অনেকে বয়স বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় ভোটার তালিকায় নাম তুলতে অনীহা দেখান। তাছাড়া মহিলাদের একাংশ বিভিন্ন প্রয়োজনে খানাকুল থেকে অন্যত্র চলে যান। সেই জন্য নাম তোলার ক্ষেত্রে তাঁদের সাড়া পাওয়া যায় না।
খানাকুল-২ বিডিও দেবল উপাধ্যায় বলেন, মহিলাদের ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য আমরা সর্বস্তর থেকে সচেতন করছি। রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদেরও বলা হচ্ছে। তবে চলতি বছরে কিছুটা বেড়েছে। আগামী বছর আরও বাড়বে বলে মনে করছি।