বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বহরমপুর থেকে বর্ধমান, আসানসোল ও সিউড়ি এলাকায় দিনে বেশ কিছু বেসরকারি বাস চলাচল করে। কিন্তু, ব্রিগেডের জন্য সংশ্লিষ্ট রুটগুলির বেসরকারি বাস তুলে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ফলে এদিন সকাল থেকেই বাসস্ট্যান্ডে সংশ্লিষ্ট রুটগুলির যাত্রীদের ভিড় ছিল। ডোমকলের জিৎপুরের বাসিন্দা সফিউল্লা শেখ পেশায় রাজমিস্ত্রি। তিনি বলেন, বর্ধমান থেকে একটি ঠিকাদার সংস্থার হয়ে রাজমিস্ত্রির কাজ করতে মধ্যপ্রদেশে যাব। তাই বর্ধমানে যাওয়ার জন্য এখানে এসেছি। বাস না থাকায় এখন খাগড়াঘাট স্টেশনে যাচ্ছি। সেখান থেকে ট্রেনে চেপে কাটোয়া হয়ে বর্ধমান যাব। সোনালি ঘোষ নামে এক গৃহবধূ বলেন, বর্ধমানে এক আত্মীয়র বাড়িতে যাব। দীর্ঘক্ষণ ধরে অপেক্ষা করার পরও বাস না মেলায় সফর বাতিল করলাম। স্থানীয় এক বাস কর্মী বলেন, দিনে এখান থেকে বর্ধমান, আসানসোল ও সিউড়ি রুটে ১০-১২টি বাস যাতায়াত করে। বাস না থাকায় যাত্রীরা ফিরে যাচ্ছেন।
এছাড়াও বহরমপুর থেকে কলকাতা, মালদহ, উত্তর দিনাজপুর, শিলিগুড়ি, রামপুরহাট প্রভৃতি রুটেও এদিন বাস অন্যদিনের তুলনায় কম চলেছে। সংশ্লিষ্ট দূরপাল্লার রুটের বেসরকারি বাসের জন্য যাত্রীদের বাসস্ট্যান্ডে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছে। দূরপাল্লার কিছু রুটের বাসে যাত্রীদের ব্যাপক ভিড় হয়। বাসের মধ্যে দাঁড়িয়ে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেন যাত্রীরা। তবে, উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম জেলার কিছু রুটে অতিরিক্ত বাস চালানোয় পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। নিগমের বহরমপুর ডিভিশনের ম্যানেজার উত্তম গণ বলেন, এদিন এই এলাকা থেকে দূরপাল্লার সমস্ত রুটে অন্যান্য দিনের মতোই বাস চালানো হয়েছে। এছাড়া, জেলার লোকাল রুটে অতিরিক্ত ১০টি বাস চালানো হয়েছে। জেলার কোনও এলাকা থেকে যাত্রী দুর্ভোগের অভিযোগ কিংবা আরও বাস চালানোর দাবি আসেনি। কাজেই, জেলার পরিবহণ পরিষেবা স্বাভাবিক ছিল বলেই মনে করছি।