পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন রাস্তায় এদিন বেসরকারি বাসের সংখ্যা খুব কম ছিল। তমলুক মেচেদা রাস্তার পাশাপাশি দীঘাগামী রাস্তাতেও এদিন হাতেগোনা বাস চলে। ফলে এদিন গন্তব্যে পৌঁছনোর লক্ষে বাড়ি থেকে বের হওয়া নিত্যযাত্রী ও মানুষ দিনভর নানান যন্ত্রণার মুখে পড়েন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে ছোট গাড়ি ভাড়া করে যাতায়াত করতে বাধ্য হন জেলাবাসী। কোথাও আবার বাস কম থাকায় টোটো ও অটোর ভাড়া দ্বিগুণের বেশি বাড়িয়ে দেওয়া হয়। জেলায় বিভিন্ন ছোট রুটে চলা ১,১০০বাসের মধ্যে প্রায় সাড়ে ৭০০টি বাস তুলে নেওয়া হয়। দীঘা রুটের বহু বাস শুক্রবার বিকেল থেকে বন্ধ হয়ে যায়। বাস না পেয়ে কাঁথি ও এগরায় টোটো ও ট্রেকার, অটোতে যাতায়াত করতে বাধ্য হন বাসিন্দারা। এদিন অপেক্ষাকৃত ফাঁকাই ছিল কাঁথি সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ড। কাঁথির কালীনগর বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে অনলবেড়িয়া হাইস্কুলের এক শিক্ষক বলেন, এদিন অনেক শিক্ষকই আগেভাগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে টোটো, অটো কিংবা নিজেরা গাড়ি ভাড়া করে স্কুলে পৌঁছেছেন। বেসরকারি বাস কম চলাচল করলেও সরকারি বাস ছিল। কিছুটা সমস্যা হয়েছে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ডিস্ট্রিক্ট বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের জেলা সাধারণ সম্পাদক সুকুমার বেরা বলেন, এদিন ব্রিগেড মিটিংয়ের জন্য প্রচুর বাস ভাড়া করা হয়েছিল। তাই রাস্তায় বাস কম ছিল। তবে এই ঐতিহাসিক জনসভার কারণে জেলার বহু মানুষ কলকাতা গিয়েছিলেন। খুব কম সংখ্যক মানুষ রাস্তায় বেরিয়েছিলেন। তাই খুব বেশি সমস্যা হয়নি।
এদিন ঝাড়গ্রাম জেলাতেও বাস সঙ্কটের জেরে দিনভর নাকাল হন নিত্যযাত্রী থেকে সাধারণ মানুষ। রাস্তায় সরকারি বাস ছাড়া বেসরকারি বাস সেইভাবে চোখে পড়েনি। ফলে ছোট গাড়ি ভাড়া করে সাধারণ মানুষকে গন্তব্যে পৌঁছতে হয়। পশ্চিম মেদিনীপুরেও একইচিত্র চোখে পড়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন প্রান্তিক এলাকায় পৌঁছতে গিয়ে মানুষকে চরম নাকাল হতে হয়। খড়্গপুর, ঘাটাল মহকুমা সহ জেলার সমস্ত প্রান্তেই বাস নিয়ে হাহাকার চোখে পড়েছে।