রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লিপিকাদেবী চণ্ডীপুরের ধান্যশ্রী গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ব্রজলালচক গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান ছিলেন। ব্রিগেড সভার সমর্থনে এলাকায় প্রচার শেষ করে শুক্রবার রাত ৯টা নাগাদ লিপিকাদেবী ও তাঁর স্বামী দিব্যেন্দু ভক্ত বাড়ি ফেরেন। রাত ১১টা নাগাদ খাওয়া দাওয়া শেষ করে সাড়ে ১১টা নাগাদ টিভি দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পড়েন। মাটির বাড়ির একতলার ঘরে একই বিছানায় এই দম্পতি ছেলেকে নিয়ে ঘুমাচ্ছিলেন। রাত দেড়টা নাগাদ হঠাৎই আগুনের তাপ অনুভব করায় তাঁদের ঘুম ভেঙে যায়। ঘরের ভিতরে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখে তাঁরা দরজা খুলে বের হওয়ার সময় দেখেন বাইরে থেকে দরজার ছিটকিনি আটকানো। এরপর ঘরের ভিতরের দিকের একটি দরজা খুলে কোনওমতে তাঁরা বাইরে বেরিয়ে আসেন। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা টুলু পাম্প চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। শনিবার সকালে দিব্যেন্দুবাবু কার্তিক বর্মন সহ মোট তিন সন্দেহভাজনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরমধ্যে পুলিস কার্তিককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।
দিব্যেন্দুবাবু বলেন, ১৯৯৮ সাল থেকে রাজনীতি করছি। বামফ্রন্টের জমানাতেও এইভাবে কেউ খুনের চেষ্টা করেনি। ঘরের জানালা দিয়ে প্রচুর পরিমাণ দাহ্যবস্তু ঘরের ভিতরে ঢেলে আগুন লাগানো হয়েছিল। আমরা যাতে ঘর থেকে বাইরে বের না হতে পারি তারজন্য শিকল তুলে দেওয়া হয়। এর পিছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে। রাতে এলাকার বাসিন্দারা কার্তিকের সাইকেল ও তেলের জ্যারিকেন আমার বাড়ির পাশে পড়ে থাকতে দেখে পুলিসের হাতে তুলে দেয়। কী উদ্দেশ্যে আমাদের পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করা হল তা বুঝতে পারছি না। ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত সকলের কঠোর সাজা চাই।